টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সৃষ্ট গর্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে উদ্বেগজনক হারে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে এই রুটে যাতায়াতকারীরা। নির্ধারিত গতির চেয়ে অনেক কম ও অনেক স্থান দিয়ে অতি ধীরে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবহনগুলোকে। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানের বিকল্পহীন এই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দ্বিগুণ সময় লাগার অভিযোগ যাত্রীদের।
ঢাকা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় ইউনিক পরিবহনে উঠা যাত্রী আবু জাফর মৃধা চট্টগ্রাম পৌঁছেন রাত ৮টায়। গর্তে ভরা সড়কে চালকের গাড়ি চালানোর প্রতিবন্ধকতা, আবার সিএনজি অটোরিকশার জন্য গাড়ির গতি বার বার কমানোসহ গর্তের দরুন বৃদ্ধ ও অসুস্থ যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই অসহনীয়। গতকাল সোমবার মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট থেকে চট্টগ্রামগামী কমফোর্ট হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম পৌঁছা রোগী ইসমাঈল হোসেন (৬০) এর পুত্র আসিফুল ইকবাল জানান, তিনি হৃদরোগের আক্রান্ত তাঁর পিতাকে অক্সিজেন দিয়ে চট্টগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতালে নেবার পথে অন্ততঃ ৫ বার অক্সিজেন মাক্সটি খুলে যায়। এদিকে সরেজমিনে দেখা যায় চট্টগ্রামের সিটিগেইট থেকে মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার জুড়ে কোয়ার্টার কিলোমিটার সড়কও গর্তছাড়া নেই। আর কোথাও কোথাও গর্তের গভীরতা আর গর্ত সংখ্যা এতোটাই বেশি যে যানবাহন বিকল হয়ে পড়াটাও স্বাভাবিক। এছাড়া ফেনী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও দাউদকান্দি পেরিয়ে কাঁচপুর অবধি বিভিন্ন অংশে একই দশা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে প্রবেশের পর মীরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড়, মস্তাননগর, দুর্গাপুর, ঠাকুরদীঘি, মীরসরাই, নয়দুয়ারিয়া, নিজামপুর, বড়দারোগারহাট, সীতাকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড, শীতলপুর, কুমিরা, ভাটিয়ারী ও ফৌজদারহাট এলাকায় এই গর্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
আবার কোন কোন বিশেষ বাইপাস ও ইউটার্ন পয়েন্টে আরো বেহাল দশা। বিশেষ করে মীরসরাইয়ের মস্তাননগর, মীরসরাই সদর ও বড়দারোগাহাটসহ বিভিন্ন অংশের অবস্থা করুণ।
এই বিষয়ে ফোরলেন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জুলফিকার আলী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন লাগাতার বৃষ্টির জন্য আমরা গর্তগুলো যথাযথভাবে রিফেয়ার করতে পারছি না। তবে বেশি গভীর হওয়া গর্তগুলোতে ইট দিয়েছি। বৃষ্টি বন্ধ থাকলে আগামীকাল থেকেই আমাদের সংস্কার টিম কাজ করবে। মীরসরাই সদরে থানার সামনেই দীর্ঘদিন ঢালাইবিহীন পড়ে থাকা অংশে ইট পাথরের গর্তময় স্থানটিতে ইতিমধ্যে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে এই বিষয়ে এই অংশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা প্রকৌশলী কীরন চন্দ্র বলেন এখানে ও শীঘ্রই ঢালাই কাজ শুরু হবে।