মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

জাতিসংঘে ইরানের নতুন রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

image_72229.usa
হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইরানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দেবে না। রাষ্ট্রদূত হামিদ আবু তালেবি ১৯৭৯ সালে তেহরানে মার্কিন দূতাবাসে হামলার সঙ্গে জড়িত বলে তাঁর নিয়োগ নিয়ে আমেরিকার কঠোর আপত্তি রয়েছে।
এদিকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে।
হামিদ আবু তালেবি জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হওয়ার পর তাঁকে যেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হয়- কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসা এমন প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ওবামা অনেকটা চাপের মুখে পড়েছেন। খবর এএফপির।
এ সপ্তাহের শুরুতে ইরান সরকারকে হোয়াউট হাউস জানিয়েছিল, হামিদ আবু তালেবিকে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নির্বাচিত করে তারা ঠিক কাজ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক ও আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের ইরানের মুখপাত্র, হামিদ বাবেই।
আবু তালেবিকে ভিসা না দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সিনেট উভয় কক্ষেই বিল পাস হয়েছে। এখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বাক্ষর করলে বিলটি চূড়ান্তভাবে আইনে পরিণত হবে।
ইরান বলছে, হামিদ আবু তালেবি তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ কূটনীতিকদের অন্যতম। তাঁকে যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি শুক্রবার বলেছেন, ‘আমরা জাতিসংঘ ও ইরানকে জানিয়ে দিয়েছি যে আমরা আবু তালেবির ভিসা ইস্যু করব না।’
এ লক্ষ্যে কংগ্রেসে ইতিমধ্যেই একটি বিল পাস করা হয়েছে। আমরা এটি পর্যালোচনা করব।
তবে কার্নি ভিসা না দেওয়া সংক্রান্ত বিলটিতে প্রেসিডেন্ট ওবামা সই করবেন কি না সে বিষয়ে কিছু জানাননি।
১৯৭৯ সালে একদল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয়। সেই সংকটে ৫২ জন অ্যামেরিকান ৪৪৪ দিন আটকা ছিলেন।
গত মাসে এক ইরানি নিউজ সাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবুতালেবি বলেছিলেন, মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেওয়া গ্রুপটির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না।
সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্র এর আগে কখনো জাতিসংঘের কোনো রাষ্ট্রদূতের ভিসা প্রত্যাখ্যান করেনি এবং আবু তালেবির ভিসা ইস্যু না করে নতুন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে কি না এ নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।