রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

জলাশয় থাকবে, আবাসনও হবে : গণপূর্তমন্ত্রী

image_68929.1111
জলাশয় থাকবে, আবাসনও হবে। ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সংশোধন করে আবাসন খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করা হবে। সরকারি দপ্তর থেকে প্ল্যান পাস করানোর কাজটি সহজ করার জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার খোলা হবে। গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডিতে পরিত্যক্ত জমি শনাক্ত করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।‌আজ রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত ‘রিহ্যাব ফেয়ার ২০১৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।মন্ত্রী আরো বলেন, বেসরকারি উদ্যোগ ছাড়া সরকারের একার পক্ষে আবাসন সমস্যা সমাধান সম্ভব ছিল না। আবাসন ব্যবসায়ীদের প্ল্যান পাস করাতে বিভিন্ন দুয়ারে ঘুরতে হয়। তাই ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর মাধ্যমে এ দুর্ভোগ লাঘব করা হবে। দেশের আবাসন সমস্যায় রিহ্যাব এগিয়ে এলে বিদেশি সহযোগিতা প্রয়োজন হবে না।মন্ত্রী বলেন, ‘ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য একটি রিভিউ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি বাস্তবতার আলোকে আবাসন ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক সব বিষয় বিবেচনা করে তা সংশোধন করবে। রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় জলাশয় থাকবে, আবাসনও হবে।’জিন্দাপার্ক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পার্কের ৫০ একর জায়গায় একটিও প্লট করা হবে না। রাজউকের তত্ত্বাবধানে এটি সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী পার্ক রক্ষার নামে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।রিহ্যাব সভাপতি মোকাররম হোসেন খানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও রিহ্যাবের সহসভাপতি মো. আব্দুর রশীদ, রিহ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামানসহ আরো অনেকে।
শহীদ উল্লাহ খন্দকার বলেন, আবাসন একটি মৌলিক অধিকার। সরকারের ১১টি দপ্তর আবাসন খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সবার জন্য মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে মেলার প্রবেশ টিকেটের ওপর র‍্যাফেল ড্রতে বিজয়ী পাঁচজনের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।এর আগে গত ২০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী মেলাটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা জানান, এবারের মেলায় ৩২০টি ফ্ল্যাট এবং ২০৭টি প্ল্যাট বিক্রি হয়েছে, যার মূল্য ৩৮৭ কোটি টাকা। পাশাপাশি ক্রেতাদের কাছ থেকে ৫২২ কোটি টাকার ফ্ল্যাট, পস্নট এবং কর্মাশিয়াল স্পেস কেনার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।১৪১টি রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠান এবং ১৪টি ভবন নির্মাণ সামগ্রী ও অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৫৫টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করে। পাঁচ দিনে মোট ১২ হাজার ১৮৬ জন ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম হয়।