শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

চেয়ার আছে ম্যান নেই : জনভোগান্তি

12046749_502470869907398_4768626668577317602_nঅবশেষে মীরসরাইয়ের ১নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনকে অব্যাহতি প্রদান করলো স্থানীয় সরকার প্রশাসন। আবার উক্ত পদ শূন্য প্রক্রিয়া থেকে অদ্যবধি ফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। জানা যায়, ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ তদন্ত করে। এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২১ সেপ্টেম্বর এক আদেশে করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অতঃপর অব্যাহতি প্রদান করে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করে স্থানীয় সরকার। তখন থেকেই কার্যত শূন্য হয়ে পড়ে চেয়ারম্যান পদ। এরপর থেকেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেট প্রদানসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ সেবা কার্যত বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব গুরুত্বপূর্ণ সনদের জন্য উপজেলার সর্ববৃহৎ করেরহাট ইউপি এলাকার জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে এসব সনদের জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারছেন না।

স্থানীয় বাসিন্দা একরামুল হক বলেন, পাসপোর্ট করার প্রয়োজনে চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট প্রয়োজন। কিন্তু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে তিনি আর ইউনিয়ন পরিষদের কোন সনদেই স্বাক্ষর করছেন না, এখন আমি গত সাত দিন ধরে খোঁজ নিচ্ছি। কেউ কোন সিদ্ধান্তও দিতে পারছে না। ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য কামাল সরকার বলেন গত ২০ দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সনদ প্রদান বন্ধ রয়েছে। জনভোগান্তি হলেও আমাদের কিছুই করার নেই। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহম্মেদ সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এতে অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছে। ফলে চেয়ারম্যান পদ শূণ্য ঘোষনা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন ইউনিয়নবাসীর সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে এটা আমরা স্বীকার করছি। শীঘ্রই মেম্বারদের মধ্য থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে।

উল্লেখ্য যে, সীমানা জটিলতায় নির্বাচন আটকে থাকায় তিনি দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চেয়ারম্যান দেলোয়ারের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ১২জন ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব দেন। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় করেরহাট ইউপি চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ইউপি চেয়ারম্যানের পদ শূণ্য হওয়ার পর আইনী জটিলতায় এখনো কাউকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব না দেয়ায় এমন দুর্ভোগে পড়া করেরহাট ইউনিয়নবাসী তাদের কাজগুলো সারতে দ্রুত একটি সুরাহা চায়।