১২ জানুয়ারি সকালে জাহাজ দু’টির কমিশনিং শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পতেঙ্গা বোট ক্লাবে চট্টগ্রামের শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সাথেও বৈঠক করবেন। বৈঠকে দলীয় নেতাদেরকে সব ধরনের কাদা ছোঁড়াছুড়ি এবং বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে আগাম প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে বলে দলীয় সূত্র আভাস দিয়েছে। ১২ জানুয়ারি কোন কারনে প্রধানমন্ত্রী যদি দলীয় নেতাদের সাথে বসতে না পারেন তাহলে চলতি মাসের ২৮ তারিখে বসবেন বলে উল্লেখ করে দলের প্রভাবশালী একজন নেতা দৈনিক আজাদীকে বলেছেন, চলতি মাসের ২৮ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় দফায় চট্টগ্রামে আসবেন। ওইদিন তিনি নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আইইবির ৫৭তম জাতীয় কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সার্কিট হাউজে দলীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করতে পারেন।
চট্টগ্রামের দলীয় রাজনীতি এবং কয়েকজন সংসদ সদস্যের কর্মকান্ডে প্রধানমন্ত্রী অসন্তুষ্ট বলে উল্লেখ করে উক্ত নেতা জানান, এসব বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলবেন, সতর্ক করবেন এবং নির্দেশনা দেবেন। আগামী নির্বাচনের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে তিনি দলীয় সংসদ সদস্য এবং নেতাদের নির্দেশনা দেবেন বলে উল্লেখ করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নেতা জানান, দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও গত ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে সাংগঠনিক যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই দিন সকালে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় সকালের নাস্তা করার সময় তিনি সকল ভেদাভেদ এবং কাদা ছোঁড়াছুড়ি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী কেবল এই দুই নেতাই নন, চট্টগ্রামের অন্যান্য সংসদীয় আসনগুলোতেও যেখানে যত ধরনের বিরোধ রয়েছে সবগুলো মিটিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেবেন বলেও ঐ নেতা জানান।