শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

“কবিতার খোঁজে বিশেষ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড ২০১৭” বিজয়ী কবি ‘মোহনা’

খবরিকা ডেস্ক ঃ শব্দের সাথে তার সখ্যতা ছোটবেলা থেকেই। সেই ৬ বছর বয়সে তার মায়ের দৈনন্দিন রুটিনের ডায়েরীতে পেন্সিল দিয়ে আনকোড়া হাতে লিখেছিলেন ৪ লাইনের একটা ছড়া। সেখান থেকেই তার শব্দের সাথে খেলা শুরু। ধীরেধীরে তিনি ছড়া থেকে কবিতা, গল্প লিখতে শুরু করেন। সেই ছোটবেলা থেকে আজ অবধি তিনি অসংখ্য গল্প কবিতার জন্ম দিয়েছেন। গল্প কবিতার পাশাপাশি নিয়মিত লিখে গেছেন অনুলিখন আর চিঠি। শব্দের মালা গাঁথতে গাঁথতে একটা বড় উপন্যাসও লিখে ফেলেন তিনি। উপন্যাসটার নাম-“গোধূলী প্রণয়”। ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “নিরন্তর নৈঃশব্দ্যে” প্রকাশিত হয়, যা সবার কাছে প্রশংসার সহিত সমাদৃত হয়। নিজের লেখা কবিতা আবৃত্তি করে তিনি বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী থেকে মেডেল অর্জন করেন।

সম্প্রতি তিনি “কবিতার খোঁজে বিশেষ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড ২০১৭” বিজয়ী হন। তার সাহিত্য জীবনে পদার্পণ করার পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা ছিলো প্রকৃতি। ফরিদপুর জেলার এক ছোট্ট গ্রামে তার জন্ম। গ্রামেই তার শৈশব কৈশোর কাটে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। গ্রামে বেড়ে ওঠার কারনে প্রকৃতির সাথে তার হৃদ্যতা ছিলো খুব নিবীড়। ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রকৃতি আর মানুষকে খুব নিঁখুত ভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন। আর তার ফলশ্রুতিতেই তার গল্প কবিতায় আমরা প্রকৃতি ও জীবনের গভীর ছোঁয়া দেখতে পাই। তার গল্প কবিতায় মানুষের বাস্তব জীবনধারা খুব সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। তিনি ভীষন কল্পনাবিলাসীও বটেস তার লেখনীতে কল্পনার রং এর এক বিশাল রঙিন ক্যানভাস খুঁজে পাওয়া যায়। পাঠকরা তার লেখনী পড়ে একদিকে যেমন সমাজের বা জীবনের বাস্তব চিত্র দেখতে পান, অন্যদিকে কল্পনায় হারিয়ে যান দূরে কোথাও, যে জীবনের সাথে তাদের সখ্যতা ছিলোনা কোনোকালে! তিনি প্রচুর বই পড়তে পছন্দ করেন, পাঠাগারে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। প্রকৃতি তাকে খুব টানে বলেই ভ্রমনের নেশা তার ছোটবেলা থেকেই। ঘরের ভেতর বসে অলস সময় কাটানো খুব অপছন্দ করেন তিনি। সারা দিনরাত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সৃজনশীল কাজে ডুবে থাকতে ভালবাসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হোম ইকোনোমিক্স ইউনিটের শিল্পকলা অনুষদে পড়াশুনার সুবাদে নিত্য নতুন ডিজাইনের দক্ষ কারিগর তিনি। কখনো পোষাক, কখনো অলংকার, কখনোবা ঘর সাজানোর সামগ্রীর ডিজাইন করতে করতে কেটে যায় তার অনেকটা সময়। আবৃত্তি করতে খুব ভালবাসেন। সুযোগ পেলেই মাঝেমাঝে মঞ্চে আবৃত্তি করেন। এছাড়াও তিনি পথশিশু ও হতদরিদ্র মানুষদের নিয়ে কাজ করেন “ঝরা ফুল কল্যান ফাউন্ডেশন”এ। এ দেশটাকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে দেখার অনেক স্বপ্ন তার দু’চোখে। তাই অর্থ, সময়, শ্রম ব্যায় কেে দৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে তিনি এই সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করে যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের লেখনী শক্তি দিয়ে ঘরে বাইরে সর্বত্র জয় করে নিয়েছেন সবার প্রশংসা আর ভালবাসা। নিজেকে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত এবং প্রকৃত কথাসাহিত্যিক হিসেবে দেখতে চান তিনি। তার প্রতিভা ও শ্রম দিয়ে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করাতে চান নিজের দেশকে। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।।