রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ঈদের বাজারে ‘কিরণমালা’ প্রভাব

Presentation1 copy
মো ইমাম হোেসন :‘কিরণমালা’, ‘রাজকুমারী’, ‘ইচ্ছে নদী’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘জলকন্যা’ এসব বাহারি নাম শুনলে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন সিরিয়ালের কথা মনে পড়ে যায়। তবে নামগুলো এখন আর ছোট পর্দায় আটকে নেই। ঈদের পোশাকের গায়ে জুড়ে বসেছে। ভারতের টিভি চ্যােনল স্টার জলনা এই তালিকা থেকে বাদ যাননি।

মীরসরাই আবুতোরার বাজারের কয়েকটি বিপণিকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এবারের ঈদের বাজারে বেশি চলছে ‘কিরণমালা’ নামের পোশাকটি। পোশাকের এ নামের কারণ জানতে চাইলে আবুতোরার বাজারের রফ রফ ফ্যাশনের মালিক মিজানুর রহমান বলেন, আসলে প্রতিবছরই ভারতীয় পোশাকগুলোর নতুন নাম দেওয়া হয়। কয়েক বছর আগে ‘মাসাককালি’ নামের পোশাক দিয়ে শুরু হয়। গতবার ছিল ‘পাখি’, এবার ‘কিরণমালা’। ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিরণমালা’র নায়িকা এমন নকশার পোশাক পরেন বলে কিরণমালা নাম দেওয়া হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। আর একটি দোকান নিখুঁত শিল্পে গিয়ে কিরন মালা সম্পর্কে জানেত চাইেল ঐদোকােনর মালিক জিসান মাহমুদ বলে আসলে স্টার জলসা বাংলাদেশের মহিলােদর একমাত্র ভরসা।’
জিসানের ভাষ্যমতে, আসল কিরণমালা পোশাকে লং ড্রেসের ওপরে থাকে কটি, নিচে ঘের, এরপর ফলস, পেছনে নকশা আর দুই পাশে দুটি ঝুমকা। এ পোশাকের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। তিন থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত
দেশি কিরণমালার ব্যাপারে জিসানের ভাষ্য, সাধারণত মেয়ে ও শিশুরা এসে কিরণমালা পোশাক চায়। অনেক বিক্রেতাই এ রকম নকশার পোশাক আনতে পারেননি। তাই যেকোনা নকশার পোশাক বের করে তাঁরা বলেন, এটা ‘কিরণমালা’। কোনো পোশাকে পুঁতি বা পাথরের কাজ করা থাকলেই নাম ‘কিরণমালা’। এই নাম না বললে ক্রেতারা নিতে চান না।