শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

আল কায়েদার কথা বলে মার্কিনীদের পক্ষে আনার চেষ্টা করছে সরকার : ফখরুল

fakhrul-1_70052
৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিশ্বব্যাপী প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় সরকার এখন তথাকথিত আল কায়েদার হুমকির কথা বলে মার্কিনীদের পক্ষে আনার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনে গঠিত সরকার দেশ-বিদেশে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিরোধী দলকে দমনে জঙ্গী হুমকির নামে নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে।  আল-কায়েদার হুমকি কথা বলে সরকার আমেরিকাকে কাছে টানার চেষ্টা করছে।সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ মন্তব্য করেন। এসময় দলটির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সরকার কিছু মিডিয়াকে অসত্য প্রচারে বাধ্য করছে। বিএনপি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় না এবং কখনোই দেবে না। আল-কায়েদার কথিত ভিডিও বার্তার সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগসূত্র নেই।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আরো বলেন, বিএনপি দেশে চলমান হত্যা, গুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে। বিএনপির নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের গুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। এসবের বিরোধিতা করলে যদি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে তাহলে অনেক দলই এর অন্তর্ভুক্ত হবে।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থা, সংসদ নির্বাচন, হত্যা, গুম, নির্বিচারে মানুষ হত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিবৃতি দিয়েছে। আমেরিকাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো অন্যায় ও মানবাধিকার পরিপন্থী কাজের প্রতিবাদ করছে। সঙ্গত কারণেই সবাই বাংলাদেশকে একটি বৃহৎ কারাগার বলছে। যদি তাদের বক্তব্য আল কায়েদার বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়, তবে কেন তাদেরকে এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে না। এতে প্রমাণিত হয় বিএনপিকে জড়িয়ে কথিত ভিডিও বার্তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীলরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা অসত্য ও ভিত্তিহীন।ফখরুল বলেন, সরকারের উচিত দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো হুমকি সবাইকে নিয়ে মোকাবেলা করা। যে কোনো  অঅগ্রাসন থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষা করা সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। অথচ সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এর সঙ্গে জড়াতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারের আত্মঘাতী এ ষড়যন্ত্র থেকে দূরে থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিচিত করতে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা ভেবে দেখার বিষয়। সরকারের এসব ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।প্রসঙ্গত, গত শনিবার আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির কথিত এক অডিও-ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশকে বৃহৎ কারাগার উল্লেখ করে এদেশে জিহাদের ডাক দেয়া হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা এই ভিডিও বার্তার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের যোগসূত্রতা খোঁজেন। রোববার সংসদেও এ ব্যাপারে তুমুল আলোচনা হয়। জামায়াত-হেফাজতের পক্ষ থেকে আল-কায়েদার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে আগেই জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে আজ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হলো।
উৎস- যুগান্তর