সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

অবশেষে এলো স্বস্তির বৃষ্টি

image_77287.rain-water-harvesting1_result

তপ্ত প্রাণ যেন জুড়ালো অবশেষে। খইফোটা টানা খর গরমের পর আজ শেষ বিকেলের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, মেঘের গুড়ুগুড়ু ডাক, সবই রাজধানীবাসীকে সতেজ করেছে। হোক না তা যতোই ক্ষণিকের। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে বৃষ্টি শুরু হলে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষকে দেখা যায়, মাথা পেতে নিতে বৃষ্টির ফোটা। অনেকে খোলা ছাদে, বারান্দায় বা মাঠে এসে বৃষ্টিতে ভিজে উল্লাস করে। ওদিকে, আবহাওয়া অফিসও জানাচ্ছে, আরো বৃষ্টি-বাদলের সুখবর। তারা বলছে, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহজুড়েই চলবে ঝড়বৃষ্টির ঘনঘটা। ধীরে ধীরে গরমও কমবে আরো।আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ক্রমেই আরো ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত একই অবস্থা থাকবে। এ সময় কোথাও কোথাও কালবৈশাখীও হতে পারে। বৃষ্টির কারণে গরমও কিছুটা কমবে।সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা বিভাগের আকাশ থাকবে অংশত মেঘলা। বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো আবহাওয়া থাকবে। তবে সাধারণভাবে বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। শনিবার ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রাম বিভাগেও অনুরূপ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে হতে পারে বৃষ্টিপাত। তবে রাঙামাটি, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ফেনি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইবে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। চট্টগ্রাম শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি রাজশাহী শহরে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা থাকছে। রাজশাহী শহরে ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খুলনা বিভাগেও বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে হালকা থেকে মাঝারি মাপের তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা। খুলনা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেট বিভাগেও ঝোড়ো আবহাওয়া থাকার কথা। কয়েকটি অঞ্চলে বইবে মৃদু তাপপ্রবাহ।
এ ছাড়া রংপুর ও বরিশাল বিভাগের আবহাওয়া থাকবে প্রধানত শুকনো। এই দুটি বিভাগজুড়ে বয়ে যাবে মৃদু তাপপ্রবাহ। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হতে পারে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত। আবহাওয়ার দৃশ্যপটের সার-সংক্ষেপে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে স্বাভাবিক লঘুচাপ।

উৎস- কালেরকন্ঠ