আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় দোষী সাবস্ত্য করা হয়েছে তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে। তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০০ কোটি রুপি জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১০ বছর নির্বাচনে লড়ার নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তার বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়।
শনিবার বিকেলে ব্যাঙ্গালুরের পারাপ্পান্না আগ্রাহারা জেলে স্থাপিত বিশেষ এক আদালতের বিচারক জন মাইকেল ডি’কুনহা এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় একই সঙ্গে দোষী করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বান্ধবী শশীকলাও।
এদিকে রায় ঘোষণার পরই জেলহাজতে নেয়া হয়েছে জয়ললিতাকে। জেলে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার আইনজীবীরা জানান, এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী শনিবারই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে জয়ললিতাকে। অবশ্য রাজ্যের ক্ষমতা ছাড়তে হবে না তার দলকে। সেক্ষেত্রে জয়ললিতার দল এআইএডিএমকের কোনো শীর্ষ নেতাকে বসানো হবে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুরসিতে। তথ্যসূত্র: জি নিউজ
রায় ঘোষণার পর মামলার বাদি সুব্রামনিয়াম স্বামী বলেন, আমরা দুর্নীতির সঙ্গে লড়তে পারব। এটাই দেশের কাছে বার্তা গেল। কেউই আইনের উর্ধে নয়।
এদিকে রায় ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু হয়েছে চেন্নাইতে। ললিতার সমর্থকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। চড়াও হন বিরোধী ডিএমকে নেতা করুণানিধির বাড়িতেও। জয়ললিতার সাজার জন্য বিরধী ডি এম কেই দায়ী করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ডিএমকে নেতা এম করুণানিধি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলে জয়ললিতার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের দায়ে মামলা করেন সুব্রামনিয়াম স্বামী। এরপর আয়কর বিভাগ জয়ললিতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৮ কেজি স্বর্ণ, ৮৮০ কেজি রুপা, সাড়ে দশ হাজার শাড়ি, ৭৫০ জোড়া জুতা, ৯১টি দামি ঘড়িসহ মূল্যবান অনেক দ্রব্যাদি আটক করে।