Monday, February 10Welcome khabarica24 Online

সাবমেরিন বিদ্যুৎ কেবল স্থাপন করে সন্দ্বীপকে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে আনা হচ্ছে

image_119970.138159images (3)

বঙ্গোপসাগরের তলদেশ দিয়ে ৮০ কিলোমিটার সাবমেরিন বিদ্যুৎ কেবল স্থাপনের মাধ্যমে সন্দ্বীপকে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের আওতায় আনা হবে। এজন্য ১ হাজার ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, ঢাকা আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত সচিবরা একথা বলেছেন।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সন্দ্বীপের বিশিষ্ট নাগরিক ও সরকারের ২ জন সচিব ও অতিরক্ত সচিবের পদমর্যাদার ৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধিতরা হলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ারুল ইসলাম এনডিসি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএলএম আবদুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল হালিম, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশারফ হোসেন এবং তথ্যমন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক কবি আসাদ মান্নান।
ফোরামের সভাপতি শফিকুল আলম ভুইয়ার সভাপতিত্বে সভায় সচিবগণ অবিলম্বে বঙ্গোপসাগরের তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে সন্দ্বীপকে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রীডের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, বঙ্গোপসাগরের তলদেশ দিয়ে ৮০ কিলোমিটার সাবমেরিন বিদ্যুৎ কেবল স্থাপনের মাধ্যমে এই দ্বীপটিকে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের আওতায় আনা হবে। এজন্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫ জেলায় নতুন করে দেড় হাজার কিলোমিটার বিদ্যুতের নতুন লাইন নির্মাণ ও ৩ হাজার কিলোমিটার লাইনের সংস্কার করা হবে। এজন্য ১ হাজার ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
সন্দ্বীপকে জাতীয় গ্রীডের সঙ্গে যুক্ত করতে ১১০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, সোনার দ্বীপ হিসাবে পরিচিত এই দ্বীপটিকে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রীডের সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব হলে এখানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হবে। বিশেষ করে দ্বীপের মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নতুন করে অর্থনৈতিক কর্মকা- জোরদার হবে।
বিদ্যুতের পাশাপাশি সন্দ্বীপের নৌ পথের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলেও তারা জানান। সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম লাইনে নতুন জাহাজের ব্যবস্থার পাশাপাশি সন্দ্বীপের নদী ভাঙ্গন রোধেও সরকার কাজ করছে। এছাড়া সন্দ্বীপ উড়িরচর-নোয়াখালীর সঙ্গে সড়ক পথ তৈরির ব্যাপারেও অনেকদূর এগিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আক্তার, সাবেক সচিব জাফর উল্লাহ খান, প্রফেসর হান্নানা বেগম, আহম্মেদ মোস্তফা, সংগঠনের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, আলী হায়দার চৌধুরী বাবলু, কর্নেল দিদারুল আলম ও আবুল কাশেম হায়দার প্রমুখ।
নুরুল আক্তার বলেন, উপজেলার ভিত্তিতে সন্দ্বীপ বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আয় করছে। এই দ্বীপের মানুষজন নৌপথে আসা-যাওয়া করতে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্দ্বীপের সঙ্গে নোয়াখালীর সঙ্গে সড়ক পথ তৈরির প্রকল্পটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। জলদস্যুর আক্রমণে প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন সন্দ্বীপের নিরীহ মানুষজন। সন্দ্বীপের অভ্যন্তরে রাস্তাঘাটগুলোর অবস্থা চরম খারাপ।