আর কোনো সরকারি কারখানা বেসরকারি খাতে ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পর যেসব শিল্পকারখানা এখনো চালু হয়নি- সেগুলো আবার উদ্ধার করা হবে। আজ রবিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে শিল্পগুলি বা জায়গাগুলি রয়ে গেছে এখনো, এখনো বহু ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা আর ইন্ডাস্ট্রি ব্যক্তিমালিকানায় বিক্রির পদক্ষেপ নেব না।বরং যেসব শিল্প কলকারখানা যারা ব্যক্তিমালাকানায় কিনে নিয়েছে চালু করবে বলে, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যারা চালু করে নাই, তাদের হাত থেকে সেগুলো উদ্ধার করতে হবে। বিষয়টি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মনে রাখার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়কেও নির্দেশ দিয়েছি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়কে আরো উদ্যোগ নিতে হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শে ১৯৯৩ সাল থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া শুরু হয়। ওই বছর বেসরকারিকরণ বোর্ড (পরে বেসরকারিকরণ কমিশন) প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৭৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি কারখানা সম্পূর্ণ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, ২০টি কারখানায় নেওয়া হয়েছে অংশীদার। চালু করার শর্তে প্রচুর জমিসহ এসব কারখানা কিনে নিলেও নতুন মালিকদের অনেকেই তা করেননি। কারখানার জায়গায় আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে বিরাষ্ট্রীকরণের উদ্যোগ নেওয়া ; আপনারা জানেন বেসরকারিকরণ বোর্ড করে কারখানাগুলো বিরাষ্ট্রীকরণ করার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, এতে আমরা দেখেছি যে, অনেকেই হয়তো শিল্প কিনেছে পানির দামে। কেনার পরে ওর যে কাঁচামাল, কেমিক্যালস, মেশিনারিজ বিক্রি করে, কেনার পয়সাটা উঠে গেলে কেউ আর শিল্প চালু করেনি।
এ প্রসঙ্গে নাবিস্কো বিক্রির সময়ের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। আমি নিজে একসময় তেজগাঁও এলাকায় সংসদ সদস্য ছিলাম। নাবিস্কো তখনকার টাকায় চার লাখ টাকায় বিক্রি হয়। ওই কেমিক্যালস আর কাঁচামাল বিক্রি করেই চার লাখ টাকার অনেক বেশি টাকা উঠে যায়। সেটা দিয়ে… তারপর তারা ওই ইন্ডাস্ট্রি আর চালু করেনি। একইভাবে তেজগাঁওয়ের আরো কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে সেগুলো চালু করতে নেওয়া উদ্যোগের কথা কর্মকর্তাদের মনে করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।