মীরসরাই প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বিয়ের কনেকে অপহরণকালে ৮ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের হাফেজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কনের বাবা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ইছাখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাফিজ গ্রামের একটি বাড়ি থেকে বিয়ের কনেকে ওই রাতে অপহরণের চেষ্টা চালায় ১০/১২ জন অপহরণকারী। এসময় পরিবারের লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী বেরিয়ে অপহরণকারীদের ধাওয়া করে ৮ জনকে ধরে ফেলে। পরে গণধোলাই দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু বক্কর, মীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে হস্তান্তর করে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার অপহরণকারীদের জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া অপহরণকারীরা যথাক্রমে উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ওমর ফারুক, শ্রীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সামিউল হাসান, পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের সাব মিয়ার ছেলে জামসেদ আলম, রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আবুল খায়ের, কাটাছরা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে জিয়া উদ্দিন, ঘড়িয়াইশ গ্রামের মৃত নূর আহম্মদের ছেলে সোহাগ হোসেন, উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের সমির কুমার শীলের ছেলে বাপ্পি কুমার শীল ও পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে মেজবা হোসেন।
ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, ‘আগামী ৯ অক্টোবর মেয়েটির বিয়ের দিনক্ষণ ছিল। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ ওই সন্ত্রাসীরা মেয়ের বাড়িতে আক্রমন করে অপহরণের চেষ্টা চালায়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে অস্ত্র ছিল তারা পালিয়ে যায়। বাকি ৮ জনকে জনতা ধরে ইউপি পরিষদে হস্তান্তর করলে আমি পুলিশে সোপর্দ করি।’
জোরারগঞ্জ থানার জ্যেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিয়ের কনেকে অপহরণের উদ্দেশ্যেই উক্ত সন্ত্রাসীরা গিয়ে ইছাখালীর হাফিজ গ্রামে হামলা চালায়। এসময় জনতা তাদের ৮ জনকে ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করেছে।