মীরসরাই প্রতিনিধি :
আওয়ামীলীগের রোডশো, জামায়াত সমর্থিতদের দোকান ভাংচুর ; বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাটিচার্জ : আহত ২০, গ্রেফতার ২০
বিএনপি সহ ১৮ দলের ডাকা ৬০ ঘন্টা হরতারে দ্বিতীয় দিনে মীরসরাইতে মঙ্গলবার বারইয়ারহাট পৌরসভায় সকাল ৮টায় বারইয়ারহাট পৌরসভায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে গাছ মার্কেটের সামনে হরতাল সমর্থনকারী বিএনপি জামায়াতের কয়েকশত নেতাকর্মী মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং সহ বিক্ষোভ মিছিলের সহ শিবির ও বিএনপি কর্মীরা একের পর এক ককটেল বিস্ফোরন সহ বেশ কিছু সিএনজি ট্রাক ভাংচুর করে।
এসময় পিকেটাররা টায়ারে আগুন জালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবোরোধ সৃষ্টি করলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। পিকেটার ও বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করলে পুলিশ লাটিচার্জ শুরু করে এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এসময় পুলিশের হামলায় আহত হয় ছাত্রদল ও যুবদলের ১০ নেতাকর্মী।
আবার উপজেলার মিঠাছরা বাজারে ও সকাল ১০টায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের হরতাল বিরোধী হামলা চালায় শিবির ও জামায়াত সমর্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। হামলাকারীদের হাতে গুরুতর আহত হয় ছাত্রদল কর্মী ইমাম, ফার্ণিচার কর্মচারী শফিউল আলম, মুন্না, তানভীর, সোহেল নিজাম সহ অন্তঃত ১০ জন।
এছাড়া জামায়াত সমর্থিত মিঠাছরা বাজার কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন ও বিএনপি সমর্থিত জামশেদ আলমের এম ষ্টিল ও মেক ফার্ণিচার দোকান ভাংচুর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
এদিকে, সকাল ৯টায় মীরসরাই সদরে ও বিএনপি কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিংকালে বেশ কিছু সিএনজি ও একটি এম্বুলেন্স ভাংচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ কারীদের ধাওয়া করলে বিক্ষোভ কারীরা পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে তারা আবার একইস্থানে মিলিত হয়ে ফের তারা ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ করে তারা ইট-পাটকেল মারলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৩০-৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে এবং ১০-১৫ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ভিক্ষোভ কারীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। উভয় পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় দুইঘন্টা সময় ধরে সংঘর্ষ চলে সকাল ১০টার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
প্রত্যক্ষ দর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় পিকেটররা প্রায় ৪০-৫০টি ককটেলের বিষ্পোরোণ ঘটায়। এসময় নয়জন পুলিশ সহ ২০-২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়াগেলেও আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে এঘটনায় পুলিশ ভিক্ষোভ কারীদের মধ্যে বিএনপি জামাতের ১০-১৫ জন নেতা কর্মীকে আটক করেছে।
ঘটনার এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বারইয়াহাট ও মিঠাছরা থেকে ২০ বিএনপি ও শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। আটককৃত নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যতম হলো বারইয়াহাটের ছাত্রদল কর্মী মিজান, সুমন, ফিরোজ, নজরুল, যুবদল কর্মী তারেক, শহিদ অন্যতম।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব হরতালের বিপক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল ১১ টা থেকে একটি রোড শো উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলো প্রদক্ষিণ করে।