মীরসরাই প্রতিনিধি : মীরসরাইয়ে হাফেজ জসিম উদ্দিন (২৯) নামে এক জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন উপজেলা জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা ১৬নং সাহেরখালী ইউনিয়ন এলাকায় মিছিল করেছে।
জামায়াতের আমীর নুরুল করিম ও শিবিরের সাবেক সভাপতি হাফেজ আশরাফ উদ্দিন জানান, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে বগাচতর এলাকা থেকে জসিম ডোমখালীর নিজ বাড়ী যাচ্ছিল। সমিতির বাজারে পার্শ্ববর্তী ব্রিজ পার হওয়ার সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা চিহ্নিত ছাত্রলীগের কর্মীরা তার পথরোধ করে। এরপর ছাত্রলীগ নেতা রিপন, ছালেক, কাউসার, নূর উদ্দিন ও শরিফের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল জসিমকে কুপিয়ে জখম করে। পার্শ্ববর্তী বাজারের লোকজন জসিমকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে স্থানীয় মাতৃকা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখান অবস্থার আরো অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। নিহত জসিম উদ্দিন ডোমখালীর নাজির বাড়ির নুরুল আবছারের ছেলে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর পূর্বে গত ২১ নভেম্বর বাড়বকুণ্ডে জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলামের জানাজা শেষে মীরসরাইয়ে ফেরার পথে ছোট কমলদহ এলাকায় বড় দারোগার হাটের খোকন, ইসমাইল ও হারুনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সশস্ত্র ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা জামায়াতের আমীর নুরুল করিম ও শিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলামসহ ৪ জনকে গুলি ও ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এদের মধ্যে তৌহিদ ও জাহিদুল ইসলামকে মারাত্মক জখম অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয় যারা বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।