শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মিসরের বিক্ষোভবিরোধী আইনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

4

মিসরের নতুন বিক্ষোভবিরোধী আইনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে প্রায় ২০০ মুরসিপন্থীকে গ্রেফতার করার পর ওবামা প্রশাসন এ উদ্বেগ জানাল। আলজাজিরা।মিসরে নতুন বিক্ষোভ আইন পাসের প্রতিবাদে শুক্রবার সারা দেশের প্রধান প্রধান রাজপথে প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এই ঘটনায় সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র জেন পসাকি, কায়রোতে গ্রেফতারের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘বিক্ষোভবিরোধী নতুন আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে।’তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিসরে সম্প্রতি বিক্ষোভবিরোধী আইন অনুমোদিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন এবং আমরা মনে করি বিরোধীদের শান্তিপূর্ণভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়া উচিত।’পসাকি তার বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতন এবং তাদের মরুভূমিতে নিক্ষেপ করার বিষয়টিও তুলে ধরেন। মিসরের নতুন আইনকে সীমাবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে মিসরের সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আইন করে দেশটিতে সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতা সীমিত করার এ প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ আইন মিসরের রাজনৈতিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করবে।’ এ সময় তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করারও অনুরোধ জানান।উল্লেখ্য, শুক্রবার সারা দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত ১৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রাজধানী কায়রো থেকেই গ্রেফতার করা হয় প্রায় ১০৬ জনকে। এছাড়া এসব বিক্ষোভে আরও ৮ জন আহত হন বলে জানিয়েছেন স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়।মিসরে বিক্ষোভ আইনের প্রতিবাদ-আটক ৮৬ : মিসরে নতুন জারি করা বিক্ষোভ আইনের বিরুদ্ধে দেশটির রাজপথে শুক্রবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। আন্দোলন কর্মসূচিতে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের প্রতিবাদে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুমার নামাজের পর আলেকজান্দ্রিয়া শহরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এছাড়া গিজা শহরে পুলিশ স্টেশনকে লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা।

Leave a Reply