মিশরে সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন সংবিধানের ওপর গণভোট নেয়া শেষ হয়েছে। গণভোটে সংবিধান পাস হলে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসির সময়ের সংবিধান বাতিল হয়ে যাবে। শুক্রবারের মধ্যে ভোটের ফলাফল জানাবে মিশরের নির্বাচন কমিশন। মিশরের ভঙ্গুর অর্থনীতি আর রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে নতুন সংবিধান প্রণয়নকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে বেশিরভাগ মিশরীয়। মিশরের নির্বাচন কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাবিল সালিব রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন ভোটারের উপিস্থিতি আগের বারের গণভোটের চেয়ে বেশি ছিল। আনুষ্ঠানিক কোন সংখ্যা অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের পর্যবেক্ষক জেব ওবার জানান,” আমাদের পর্যবেক্ষকরা সতেরোশোর কাছাকাছি নির্বাচনী কেন্দ্রে ছিল। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই শান্তুপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে।” মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত এলাকাগুলোতে অবশ্য ভোটারের উপস্থিতি অনেক কম ছিল। গণভোট বর্জনের আহ্বান জানায় মুসলিম ব্রাদারহুড। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট মোরসির সংবিধান নিয়ে গণভোটের সময় পাঁচ কোটি ত্রিশ লাখ ভোটারের তেত্রিশ শতাংশ ভোট দেয়। চৌষট্টি শতাংশ ভোট পেয়ে সংবিধান পাশ হয়। হোসনি মুবারকের পতনের পর এই নিয়ে তৃতীয়বার মিশরের সংবিধান নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হল। এদিকে দুই দিনের গণভোট চলাকালীন চার শতাধিক আটক হয়। প্রথম দিন সহিংসতায় নয়জন নিহত হলেও দ্বিতীয় দিন কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত হলে, মিশরকে স্থগিত করা দেড়শো কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।