উচ্চ আদালতে সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৭টায় কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। ৩০ নভেম্বর অবরোধে বাসে অগ্নিকাণ্ডে উসকানি দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন উচ্চ আদালত। এর আগে বাংলামটরে পুলিশ হত্যা মামলা, পরীবাগে বাসে পেট্রল বোমা ছুড়ে মানুষ হত্যা ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায়ওজামিন পান তিনি।মঙ্গলবার বিকালে ফখরুলের জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ১৬ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির হয়ে কয়েকটি মামলায় জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমান সরকারের আমলে এ নিয়ে তার তৃতীয় দফা কারাভোগ।
কারাগার থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, অবৈধ, দখলদার, জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন অবশ্যই শুরু করা হবে। তিনি মাত্র বেরিয়েছেন। দলের চেয়ারপারসন নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করে আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু করবেন। হামলা-মামলা আর কারান্তরীণ করে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। হামলা-মামলা যত বেশি হবে এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও বেগবান হবে।কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রথমে তিনি তার উত্তরার বাসায় যান। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম শেষে রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কারাগার থেকে বেরোনোর পর সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় কারাফটকে ফখরুলের সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঠাকুরগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নম্র চৌধুরী, কালিগঞ্জের মেয়র মজিবুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য সাইরুল কবির খান, হুমায়ুন কবির খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।