দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে গেল বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ৫২ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। সফরকারীদের দেয়া ১৪৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ১৮.৫ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যাচ্ছিল কাইল অ্যাবটের বল। এমন একটা ওয়াইড বল পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম। ফিরে গেছেন মাত্র পাঁচ রান করে। পরের ওভারে কাগিসো রাবাদাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে সাত রান। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু টানা দুই ওভারে মুশফিক ও সাব্বির রহমানকে আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন জেপি ডুমিনি। তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ডেভিড মিলারের হাতে ধরা পড়েছেন মুশফিক (১৭)। আর উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ ধরে সাব্বিরকে (৪) সাজঘরমুখী করেছেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইনটন ডি কক। নাসির আউট হয়েছেন মাত্র এক রান করে। ৩০ বলে ২৬ রান করে বেশ কিছু সময় বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু ১৪তম ওভারে তাঁর বিদায়ের পর প্রায় শেষই হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের আশা। শেষপর্যায়ে টি-টুয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া লিটন দাসের ২২ রানের ইনিংস হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে।লিটন দাস ২৬ বলে ২২ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল দর্শনীয় একটি ছক্কার মার।সকালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১৪৯ রানের টার্গেট দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডুপ্লেসিস-রুশোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টুয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা। ডুপ্লেসিস ৭৯ ও রুশো ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে আরাফাত সানি ২টি উইকেট শিকার করেন। আর নাসির ও সাকিব একটি করে উইকেট পান।