Saturday, January 25Welcome khabarica24 Online

প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার অবস্থা সংকটজনক

7_86385
প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্ট (যান্তিক শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা) দেয়া হয়েছে। ৮৩ বছর বয়সী এ সাংবাদিক জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তিনি কয়েকদিন ধরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সোমবার রাত ২টার দিকে এবিএম মূসাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া শুরু হয়। তিনি ল্যাবএইডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. বরেণ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার রোগমুক্তির জন্য পারিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, কয়েকদিন ধরে এবিএম মূসার দেহে রক্তের ক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না। এজন্য নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন করা হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও দ্রুত রক্তকণিকা ভেঙে সমস্যা জটিলাকার ধারণ করছে। এ রোগের নাম মাইলো ডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোম। ১০ বছর ধরে এবিএম মূসার চিকিৎসা করছেন বরেণ চক্রবর্তী। তার নেতৃত্বে বিশেষ টিম কাজ করছে। বরেণ চক্রবর্তী বলেন, এবিএম মূসার অবস্থা আশংকাজনক। তিনি ডেঞ্জার পয়েন্টে রয়েছেন। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।ডা. বরেণ চক্রবর্তীর সহযোগী চিকিৎসক ডা. এমএম হিমেল সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, অনেকগুলো রোগ একসঙ্গে হওয়ায় জনাব মূসার অবস্থা সংকটাপন্ন। বেশ কয়েকবার রক্ত দেয়া হলেও রক্ত জমাট বাঁধছে না। সেপটিসেমিয়ার কারণে তার শরীরে দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তার হার্টের পাম্পিং মাত্র ১৫-২০ শতাংশ। সেটাও থেমে থেমে হচ্ছে। কিডনি সমস্যাও আছে। এখন ফুসফুসেও সংক্রমণ (ইনফেকশন) দেখা যাচ্ছে। তার হার্টে বাইপাস করা এবং পেসমেকার বসানো রয়েছে। তবে তিনি এখনও সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে পড়েননি। জোরে ডাক দিলে সাড়া দিচ্ছেন এবং দৃষ্টি বিনিময় করছেন বলে জানান ডা. হিমেল।এবিএম মূসার মেয়ে পারভীন সুলতানা ঝুমা গতকাল সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তার পিতাকে (মূসা) হাসপাতালে-বাসায় আনা-নেয়া করে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। শরীর বেশি খারাপ হয়ে যাওয়ায় শনিবার তাকে প্রথমে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। তার হার্ট, ফুসফুস ও কিডনিতে জটিলতা আছে। এরপর সোমবার গভীর রাতে অবস্থা বেশি খারাপ হলে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। পিতার রোগমুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পারভীন সুলতানা ঝুমা।