পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে দুই বিলিয়ন ডলার চেয়েছে সরকার। এ অর্থ কবে সরবরাহ করতে হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এদিকে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন রিজার্ভ ভেঙে করলে বেসরকারি খাতের অর্থায়ন, সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। মহাজোট সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসায় পদ্মা সেতু নিয়ে তোড়জোর শুরু হয়েছে। মূল সেতুর কাজের জন্য এর মধ্যে ঠিকাদার যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। বিদেশী সহায়তার কোন আশ্বাস না পাওয়ায় নিজের অর্থেই সেতু তৈরি করতে সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। যেটুকু বিদেশী মূদ্রা লাগবে, তা আসবে রিজার্ভ থেকে।বিবি জানায়, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। যা দিয়ে দেশের সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব। এখন সরকার কেন্দ্রীয় রিজার্ভ থেকে বরাদ্দ দিলে পদ্মা সেতু তাতে বড় একটি ভাগ বসাবে। এরই মধ্যে সেতু বিভাগ ডলারের চাহিদা দেয়ায় অর্থনীতিবীদদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তাদের বক্তব্য এখন বিদেশী অর্থায়ন ছাড়া নতুন করে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে গেলে ব্যয় বাড়বে। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক চারটি দাতাসংস্থা অর্থায়ন থেকে সরে যাবার কারনে নতুন করে সহায়তা পাওয়া বর্তমান সরকারের জন্য কঠিন। এ অবস্থায় পদ্মা সেতুতে রিজার্ভের বিনিয়োগ জাতীয় অর্থনীতিকে ঝুকির মুখে ফেলে দেবে।অর্থনীতিবীদদের বক্তব্য, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এমনিতেই আমদানি প্রবৃদ্ধি কম ছিল। কিন্তু এখন অনুকূল পরিস্থিতিতে তা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি দুখাতেই ডলারের চাহিদা বেড়ে গেলে রিজার্ভে চাপ পড়ার শঙ্কা বেশী। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কোন বছরে কতটুকু ডলার সরবরাহ করতে হবে, সেই চাহিদাপত্র পেলে তারা সে অনুযায়ী সংকট ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করবেন।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জা আজিজ বলেন, ডলারের চাহিদা বেড়ে গেলে টাকা ও ডলারের বিনিময় হারের সাথে সাথে বৈদেশিক মূদ্রার ভারসাম্যে বড় ধরনের চাপ পড়বে।
উৎস- যুগান্তর