টি ২০ ম্যাচের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিই ছিল। লড়াইটাও জমেছিল বেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসিরের চ্যালেঞ্জের কাছে হেরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। দিবা-রাত্রির ম্যাচে গ্যালারি ভরা দর্শকের সামনে জাতীয় দলের বিপক্ষে জয় তুলে নিল ‘এ’ দল। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৫৯ রানে থেমে যায় জাতীয় দলের ইনিংস। ১২ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টি ২০ চ্যালেঞ্জ সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেল ‘এ’ দল। আজ একই স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার সব আবহই ছিল কাল। নাসির হোসেন আগের দিনই পরিকল্পনা করেছিলেন জাতীয় দলের বিপক্ষে জিততে হলে প্রথম ১০ ওভারে ভালো রান করতে হবে। ফ্লাড লাইটের আলোয় ব্যাট করার কথা মাথায় না এনে টস জিতেই জাতীয় দলকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান নাসির। ‘এ’ দলের শুরুটা ভালো এনে দেন ইমরুল কায়েস ও জহুরুল ইসলাম। দলীয় ৩৫ রানে জহুরুল আউট হওয়ার পর দুই রানের ব্যবধানে ফিরে যান মার্শাল আইয়ুবও। কিন্তু ‘এ’ দলের আক্রমণাÍক ব্যাটিং এগিয়ে দেয় নাসিরদের। ইমরুলের সঙ্গে মুমিনুল হকের ঝড়ো ব্যাটিং আবারও রানের গতি সচল করে তাদের। মাহমুদউল্লার বলে ইমরুল আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে করেন সর্বোচ্চ ৪৫ রান। মুমিনুল ১৭ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ে করেন ৩১। মুমিনুলের পর নাসিরও দ্রুত ফিরে গেলে ১০৫ রানে পাঁচ উইকেট হারায় ‘এ’ দল। এরপর ফরহাদ রেজার ২৪ এবং আলাউদ্দিন বাবুর ১৬ রানে ১৭১ করে নাসির হোসেনরা। তবে ‘এ’ দলের ইনিংসটা আরও বড় হতে পারত। সেটা হতে দেননি আবদুর রাজ্জাক। যেই উইকেটে থিতু হতে চেয়েছেন তাকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজ্জাক। মুমিনুল, নাসির, সাব্বির ও আলাউদ্দিন বাবুকে আউট করে ৩৬ রানে চার উইকেট নিয়েছেন এ বাঁ-হাতি স্পিনার। এছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি মর্তুজা।১৭২ তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিললেন এনামুল হক ও শামসুর রহমান। এই জুটি থেকে আসে ৫৫ রান। এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই ছিল জাতীয় দল। কিন্তু দুই সানির (ইলিয়াস ও আরাফাত) বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ‘এ’ দল। ইলিয়াস সানি ৩০ রানে নেন দুটি উইকেট। আরাফাত একটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন মাত্র ১৬ রান। নাঈম ১৯ বলে ২০ এবং জিয়াউর রহমান ৭ বলে ১৬ রানে অপারাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।গ্যালারিভরা দর্শককোনো আন্তর্জাতিক বা কোনো ক্লাব দলের ম্যাচ নয়। তারপরও জাতীয় দল ও ‘এ’ দলের ম্যাচে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় হল মিরপুর স্টেডিয়ামে। টি ২০ চ্যালেঞ্জ সিরিজের প্রথম ম্যাচে কাল কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মিরপুরের পূর্ব এবং সাধারণ গ্যালারি। যদিও টি ২০ সিরিজটি সম্প্রচারের কোনো ব্যবস্থাই করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমনকি রাখা হয়নি কোনো টিকিটের ব্যবস্থাও। তবে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মিরপুর গ্যালারির কিছু অংশ। শুধু সাধারণ গ্যালারি এবং পূর্ব গ্যালারি ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ থাকায় অনেক দর্শকই মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। প্রিয় তারকার খেলা দেখতে এসে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে অনেক দর্শককে। খেলা শুরু হওয়ার অনেক আগ থেকেই বাড়তে থাকে দর্শকদের লাইন। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার দর্শক হাজির হয়েছিল মিরপুরে।সংক্ষিপ্ত স্কোরবাংলাদেশ ‘এ’ ১৭১/৯, ২০ ওভারে (ইমরুল কায়েস ৪৫, জহুরুল ইসলাম ১০, মার্শাল আইয়ুব ১, মুমিনুল হক ৩১, নাসির হোসেন ১৭, সাব্বির রহমান ৬, ফরহাদ রেজা ২৪, আলাউদ্দিন বাবু ১৬, মুক্তার আলী ৪, ইলিয়াস সানি ৫*, আরাফাত সানি ১*। মাশরাফি ২/৩৪, রাজ্জাক ৪/৩৬)।বাংলাদেশ ১৫৯/৫. ২০ ওভারে (এনামুল হক ৩০, শামসুর রহমান ৪৮, মুশফিকুর রহিম ৩৩, নাঈম ইসলাম ২০*, মাহমুদউল্লাহ ১০, সৌম্য সরকার ০, জিয়াউর রহমান ১৬*। আরাফাত সানি ১/১৬, নাসির হোসেন ১/১৬, ইলিয়াস সানি ২/৩০)।ফল : বাংলাদেশ ‘এ’ ১২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আরাফাত সানি (বাংলাদেশ ‘এ’)।
প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার সব আবহই ছিল কাল। নাসির হোসেন আগের দিনই পরিকল্পনা করেছিলেন জাতীয় দলের বিপক্ষে জিততে হলে প্রথম ১০ ওভারে ভালো রান করতে হবে। ফ্লাড লাইটের আলোয় ব্যাট করার কথা মাথায় না এনে টস জিতেই জাতীয় দলকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান নাসির। ‘এ’ দলের শুরুটা ভালো এনে দেন ইমরুল কায়েস ও জহুরুল ইসলাম। দলীয় ৩৫ রানে জহুরুল আউট হওয়ার পর দুই রানের ব্যবধানে ফিরে যান মার্শাল আইয়ুবও। কিন্তু ‘এ’ দলের আক্রমণাÍক ব্যাটিং এগিয়ে দেয় নাসিরদের। ইমরুলের সঙ্গে মুমিনুল হকের ঝড়ো ব্যাটিং আবারও রানের গতি সচল করে তাদের। মাহমুদউল্লার বলে ইমরুল আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে করেন সর্বোচ্চ ৪৫ রান। মুমিনুল ১৭ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ে করেন ৩১। মুমিনুলের পর নাসিরও দ্রুত ফিরে গেলে ১০৫ রানে পাঁচ উইকেট হারায় ‘এ’ দল। এরপর ফরহাদ রেজার ২৪ এবং আলাউদ্দিন বাবুর ১৬ রানে ১৭১ করে নাসির হোসেনরা। তবে ‘এ’ দলের ইনিংসটা আরও বড় হতে পারত। সেটা হতে দেননি আবদুর রাজ্জাক। যেই উইকেটে থিতু হতে চেয়েছেন তাকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজ্জাক। মুমিনুল, নাসির, সাব্বির ও আলাউদ্দিন বাবুকে আউট করে ৩৬ রানে চার উইকেট নিয়েছেন এ বাঁ-হাতি স্পিনার। এছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি মর্তুজা।১৭২ তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিললেন এনামুল হক ও শামসুর রহমান। এই জুটি থেকে আসে ৫৫ রান। এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই ছিল জাতীয় দল। কিন্তু দুই সানির (ইলিয়াস ও আরাফাত) বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ‘এ’ দল। ইলিয়াস সানি ৩০ রানে নেন দুটি উইকেট। আরাফাত একটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন মাত্র ১৬ রান। নাঈম ১৯ বলে ২০ এবং জিয়াউর রহমান ৭ বলে ১৬ রানে অপারাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।গ্যালারিভরা দর্শককোনো আন্তর্জাতিক বা কোনো ক্লাব দলের ম্যাচ নয়। তারপরও জাতীয় দল ও ‘এ’ দলের ম্যাচে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় হল মিরপুর স্টেডিয়ামে। টি ২০ চ্যালেঞ্জ সিরিজের প্রথম ম্যাচে কাল কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মিরপুরের পূর্ব এবং সাধারণ গ্যালারি। যদিও টি ২০ সিরিজটি সম্প্রচারের কোনো ব্যবস্থাই করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমনকি রাখা হয়নি কোনো টিকিটের ব্যবস্থাও। তবে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মিরপুর গ্যালারির কিছু অংশ। শুধু সাধারণ গ্যালারি এবং পূর্ব গ্যালারি ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ থাকায় অনেক দর্শকই মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। প্রিয় তারকার খেলা দেখতে এসে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে অনেক দর্শককে। খেলা শুরু হওয়ার অনেক আগ থেকেই বাড়তে থাকে দর্শকদের লাইন। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার দর্শক হাজির হয়েছিল মিরপুরে।সংক্ষিপ্ত স্কোরবাংলাদেশ ‘এ’ ১৭১/৯, ২০ ওভারে (ইমরুল কায়েস ৪৫, জহুরুল ইসলাম ১০, মার্শাল আইয়ুব ১, মুমিনুল হক ৩১, নাসির হোসেন ১৭, সাব্বির রহমান ৬, ফরহাদ রেজা ২৪, আলাউদ্দিন বাবু ১৬, মুক্তার আলী ৪, ইলিয়াস সানি ৫*, আরাফাত সানি ১*। মাশরাফি ২/৩৪, রাজ্জাক ৪/৩৬)।বাংলাদেশ ১৫৯/৫. ২০ ওভারে (এনামুল হক ৩০, শামসুর রহমান ৪৮, মুশফিকুর রহিম ৩৩, নাঈম ইসলাম ২০*, মাহমুদউল্লাহ ১০, সৌম্য সরকার ০, জিয়াউর রহমান ১৬*। আরাফাত সানি ১/১৬, নাসির হোসেন ১/১৬, ইলিয়াস সানি ২/৩০)।ফল : বাংলাদেশ ‘এ’ ১২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আরাফাত সানি (বাংলাদেশ ‘এ’)।