সরকারের সব জায়গায় দুর্নীতি। একদিন এই দুর্নীতির দায়ে সরকারকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে খুলনা ও বরিশালের উপজেলা চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি। তারা মানুষের বাড়ি ঘর দখল করছে। হামলা-মামলা করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন বরিশালের ১৫ উপজেলার চেয়ারম্যান, ১৫ ভাইস-চেয়ারম্যান, ৪ পৌর মেয়র এবং খুলনার ১৮ মেয়র, ১৯ চেয়ারম্যান ও ২৪ ভাইস-চেয়ারম্যান। অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দুদক নিজেরাই দুর্নীতি করছে এবং দুর্নীতিবাজদের দায়মুক্তি দিচ্ছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় লোকদের প্রশাসনে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আর ভাল মেধাবী অফিসারদের ওএসডি করা হয়েছে। জোর করে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচারকদের মামলার বিষয়ে আগেই বলে দেয়া হয়। আর যেসব বিচারক মামলার মেরিট দেখে বিচার করে তাদেরকে অপসারণের জন্য নতুন আইন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দেয়। মদদ দেয়। প্রশ্রয় দেয়। তারা সব সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে। ‘বিএনপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে’ প্রধানমন্ত্রীর এ কথার জবাবে সাবেক বিএনপি প্রধান বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আমরা সভা-সমাবেশ করছি। পায়ের নিচে মাটি না থাকলে দাঁড়াতে পারতাম না। আমাদের পায়ের তলায় শক্ত মাটি আছে। আওয়ামী লীগের পায়ের তলায়-ই মাটি নেই। ‘খুনিদের সঙ্গে কিসের সংলাপ’ এর জবাবে তিনি বলেন, ওনার (শেখ হাসিনার) ডানে-বামে কারা। ওনাদের জিজ্ঞেস করুন। এরশাদ খুনি। ইনুরাও খুনি। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে যারা আন্দোলনে থাকবেন, তাদেরই ভবিষ্যতে দায়িত্ব দেয়া হবে। আন্দোলনে যারা সামনে থাকবেন তারাই দায়িত্ব পাবেন। গ্রুপিং না করে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। সময় মতো কর্মসূচি দিলে আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, সরকারকে অনেক সময় দিয়েছি, আর নয়। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে না। জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে জনগণই বিএনপিকে আন্দোলন নামতে বাধ্য করবে।