থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় আবারও বড় ধরনের বিক্ষোভ করেছে সরকারবিরোধীরা। আজকের (রোববার) এ বিক্ষোভ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগ ও সংসদ নির্বাচন প্রত্যাহারের দাবি জানায় তারা।আগামী ১৩ তারিখ থেকে রাজধানী ব্যাংকক দখল করে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে যোগদান করা থেকে বিরত রাখারও ঘোষণা দিয়েছে সরকারবিরোধী দলগুলো।রোববার বিক্ষোভ র্যালি শুরু হওয়ার আগে দেয়া এক ভাষণে সুথেপ বলেন, সরকার পদ্ধতিতে অচলাবস্থা আনতে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে যোগদান থেকে বিরত রাখতে হবে। সরকারি দফতরে আনা সরকারি কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে হবে। পরে ব্যাংককের ডেমোক্রেসি মনুমেন্ট থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সরকার পতন আন্দোনের নেতা সুথেপ থাগসুবানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ র্যালি শুরু করে সরকারবিরোধীরা। বান মর, ওয়াং বুর্ফা, জুলা ২২ মার্কেল, ওরাচাক, মৈত্রীচিত ও মাহাচাই ঘুরে বিকেল ৪টা নাগাদ আবার ডেমোক্রেসি মনুমেন্টে ফিরে আসেন বিরোধীরা।এ বিক্ষোভকে তাদের ঘোষিত রাজধানী অচল করে দেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি বলে মনে করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর চারপাশে প্রতিবাদ সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছে যেন সরকারি কর্মকর্তারা কর্মস্থলে যেতে না পারে। এছাড়া সরকারি অফিস-আদালতসহ প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাড়িতে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন সুথেপ থাগসুবান।ইংলাক ফেব্র“য়ারিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও বিক্ষোভকারীরা তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা চাচ্ছে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিল’-এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। এদিকে দেশটিতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিসংতায় ৮ জন নিহত ও ৪শ’রও বেশি লোক আহত হয়েছে।ইংলাক সরকার এখনও দেশটির উত্তরাঞ্চলের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচন হলে তার দলই জয়ী হবে। এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রার ‘পুয়ে থাই পার্টি’। আগামী ২ ফেব্র“য়ারি দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। যদিও সরকারবিরোধী দলগুলো এ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। থাইল্যান্ডের বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে অরাজনৈতিক প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানালেও প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা সংসদ ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচন প্রতিহত করার হুমকি দিয়েছে। ২ ফেব্র“য়ারির নির্বাচন বাতিলের আহ্বান জানিয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশন বলেছে, সহিংসতার কারণে দেশে আগামী ফেব্র“য়ারিতে ভোটগ্রহণ করা ঠিক হবে না; কারণ, চলমান পরিস্থিতিতে প্রার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চমাত্রার সংশয় রয়েছে।গত ৩১ অক্টোবর থেকে থাইল্যান্ডে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সরকার ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেও বিরোধীদল তা মানছে না। তারা এখন ইংলাকের পদত্যাগ দাবি করছে। ব্যাংকক পোস্ট।