ঢালিউডের তিন সুপারস্টার আরেফিন শুভ, বিদ্যা সিনহা মিম এবং মৌসুমী। এই প্রথমবারের মতো তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এক ছবিতে। ‘তারকাঁটা’ পরিচালনা করবেন মুস্তফা কামাল রাজ।‘আসছে ২৫ জানুয়ারি ছবিটির কাজ শুরু হবে,’ জানিয়েছেন রাজ, ‘এই ছবির কাহিনী হাস্যরস, রোমান্স এবং নাটকীয়তায় পূর্ণ। আশা করি ব্যতিক্রমী কাহিনীর ঘোরটপে দর্শকদের পর্দার সামনে বসিয়ে রাখতে সক্ষম হবেন চুক্তিবদ্ধ জনপ্রিয় তিন তারকা।’ছবিটিতে মৌসুমীকে শুভর বোনের চরিত্রে দেখা যাবে। এবং মিম থাকবেন শুভর প্রেমিকা হিসেবে।এ ছাড়া সঙ্গীত পরিচালনায় থাকছেন নতুন প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী, সুরকার আরেফিন রুমি। প্রযোজনা করবেন শুকলা বণিক। গান লিখবেন কবির বকুল, অনুরূপ আইচ, মাহমুদ মনজুর, জানি হক এবং জাহিদ আকবর।
আজ মঙ্গলবার, ১২ রবিউল আউয়াল। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) নামে পরিচিত। প্রায় ১৪০০ বছর আগে এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। যেখানে আরববাসী আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত বা ‘অন্ধকারচ্ছন্ন যুগ’। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল। এমনকি অগ্নি পূজা এবং মূর্তিপূজা সহ আল্লাহর বিভিন্ন সৃষ্টির পূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই ধরাধমে। মহানবী অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেম অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজা নামের এক ধর্ণাঢ্য মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করেন। পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার হওয়ার আহ্বান জানান।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
এ উপলক্ষে আজ থেকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর চত্বরে আয়োজন করা হয়েছে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় মসজিদে প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল, সপ্তাহব্যাপী সেমিনার, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান, রাসুল (সা.)-কে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর, কেরাত মাহফিল, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা, মহানবীর (সা.) জীবন ও শিক্ষাবিষয়ক আলোচনা সভা।
এছাড়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
– See more at: http://www.sahos24.com/2014/01/14/1872#sthash.q1ECYZmQ.RLKFG41f.dpuf