ঢাকা ও নারায়ণঞ্জের মধ্যে নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন তৈরির প্রকল্পসহ ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২টি নতুন এবং ৪টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থ তহবিল (জিওবি) ৬৯৫ কোটি ৬২ লাখ। প্রকল্প সাহায্য ৩৩৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।আজ সকালে আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলো বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনের সমান্তরালে সাড়ে একুশ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ডুয়েলগেজ লাইন তৈরি হবে। এ জন্য আজকের একনেক সভায় ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল একটি ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে। মোট ব্যয়ের মধ্যে ১২৯ কোটি টাকা সরকার দেবে। বাকি ২৪৯ কোটি টাকা জাপান সরকার অনুদান হিসেবে দেবে। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে।’মুস্তফা কামাল আরো বলেন, ‘ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ উভয় শহরই অত্যন্ত জনবহুল। এখানকার যানজট সবসময়ই আমাদের মূল্যবান শ্রমঘণ্টা নষ্ট করছে। ডুয়েলগেজ রেললাইন তৈরি হলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ সহজতর হবে, সময়ও কম লাগবে।’সভায় পাহাড়তলী ওয়ার্কসপ উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) নামে অপর একটি সংশোধিত প্রকল্পেরও অনুমোদন দেয়া হয়। সংশোধিত এ প্রকল্পটির নাম মূল অনুমোদিত ১৪৬ কোটি টাকার হলেও আজকের সভা ৭২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ২১৮ কোটি টাকায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে সরকার দেবে ১৩১ কোটি টাকা। বাকি ৮৭ কোটি টাকা জাপান সরকার অনুদান হিসেবে দেবে। রেলওয়ের ক্যারেজ ও ওয়াগন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ওয়ার্কসপের প্রয়োজনীয় আধুনিকীকরণ করতেই সংশোধিত এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। রেলওয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করবে।এছাড়া সভায় ‘সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর-ধুনট সড়কে ৩টি পিসি গার্ডার ব্রিজ ( শালুয়াঘাট, পাইকরতলি ও ঘোড়াচড়া) ও বিদ্যমান ৩টি বেইলি ব্রিজের সুপার স্ট্রাকচার ( নইলসাপাড়া, ফকিরতলা ও সোনামুখী ) নির্মাণ (১ম সংশোধিত) ও কনস্ট্রাকশন অব লেবার টাওয়ার নামকসহ অপর ৩টি প্রকল্পেরও অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় মন্ত্রী পরিষদের সদস্যসহ উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।