শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ‘বাংলাড্রোন’!

dron-2-1

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় দেশে নির্মিত চালকবিহীন ড্রোন বিমান ব্যবহারের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ। এরই মধ্যে স্থানীয় প্রকৌশলীদের তৈরি ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও হয়েছে। পরীক্ষামূলক ডিএমপির মাঠে খোলা আকাশে চালকবিহীন ড্রোনের উড্ডয়ন হয়েছে। ড্রোনটি ১০ মিনিট আকাশে উড়ে। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চালিত এই ড্রোন ৫০০ ফুট উপরে উড্ডয়নে সক্ষম। বাংলাদেশের তরুণ কয়েকজন প্রকৌশলীর প্রতিষ্ঠান অ্যারো রিচার্স সেন্টার ছোট আকারের এই ড্রোন তৈরি করেছে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তারা এর নাম দিয়েছে ‘বাংলাড্রোন’। আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ড্রোন ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়া ঘুড়ি-১ এবং ঘুড়ি-২ নামে আরো দুটি ড্রোন বানিয়েছেন তারা। অ্যারো রিচার্স সেন্টার-এর প্রকৌশলী খায়রুজ্জামান বিপ্লব জানান, তাদের তৈরি করা ড্রোন একটানা ২৫ মিনিট উড়তে পারে। উঠতে পারে ৫০০ ফুট ওপরে, ঘণ্টায় গতিবেগ যার ৪০ কিলোমিটার। তাদের ড্রোনের ওজন ৭.৬ কিলোগ্রাম আর এর সর্বোচ্চ পরিবহণ ক্ষমতা ১০ কিলোগ্রাম ওজনের জিনিস। তবে তিনি জানান, তাদের ১.৬ কিলোগ্রাম ওজনের হাল্কা ড্রোনও আছে, যার বহন ক্ষমতা ১ কিলোগ্রামের কিছু বেশি। এসব ড্রোন তৈরিতে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা খরচ পড়ছে। বেনজীর আহমেদ বলেন, “এসব ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা, স্থান চিহ্নিত করা, লাইভ ছবি নেওয়া এবং টার্গেট অনুযায়ী কিছু ফেলা সম্ভব। বিশেষ করে, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং অপরাধ দমনে এই ড্রোন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া নজরদারির ক্ষেত্রে এই ড্রোন কাজে আসবে।” তিনি জানান, পুলিশের ব্যবহার উপযোগী করতে তারা আরো কিছু ‘ফিচার’ সংযুক্ত করতে বলেছেন এই ড্রোনে। একই সঙ্গে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব এবং বাজেট পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সব কিছু মিলে গেলে ডিএমপিতে সংযুক্ত হবে এই ‘বাংলাড্রোন’।

Leave a Reply