চট্টগ্রাম : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, হাসিনা সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তাদেরকে এদেশের মানুষ তিন তালাক দিয়েছে। তাই তালাক দেওয়া সরকারের সঙ্গে জনগণ আর কোনো সংসার করতে পারে না।
শনিবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির নহানগর কার্যালয়ে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজপথে অবস্থান নিয়ে তিন দিনের হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে নোমান বলেন, এখন ফাইনাল পরীক্ষা হচ্ছে এ সরকারকে হঠিয়ে সে পরীক্ষায় আমাদের উর্ত্তীণ হতে হবে। আমাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা এখন বিপন্ন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য নিজেদের অধীনে নীল নকশার নির্বাচন অনুষ্ঠানের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, অতীতে আমরা সম্মুখযুদ্ধ করে আন্দোলন করেছি। বীর চট্টগ্রামের মানুষ কোনো স্বৈারাচারের নির্যাতনকে ভয় পায়নি। তাই রোববার থেকে রাজপথে থেকে হরতাল পালনের মধ্যদিয়ে এ সরকারের সব আপকর্মের জবাব দিতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির নহানগর কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে নূর আহমদ সড়ক দিয়ে লাভলেইন মোড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ করে মিছিল থেকে ৬টি ককটেল নিক্ষেপ করলে ২টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। বৃষ্টির কারণে ৪টি ককটেল অবিস্ফোরিত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে।
এদিকে মিছিলে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণে সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা নেতাকর্মীরা ৭/৮টি গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলেও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। পরে মিছিল নিয়ে বিএনপির কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুনরায় সমাবেশে জড়ো হয়।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন আব্দুল্লাহ আল নোমান, নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, উত্তর জেলা বিএপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি সামশুল আলম, আবু সুফিয়ান, আবু হাসেম বক্কর, মাহবুবুর রহমান শামীম।