ছাত্রলীগের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে অধ্যয়নরত তিন ছাত্রী। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে আহত করা হয় তিন ছাত্রীসহ আরও একজনকে। আহত ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হলে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন তারা। জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তিন ছাত্রীসহ তাদের এক বড় ভাই জহুরুল হক হলের সামনে দিয়ে নীলক্ষেত্র যাচ্ছিলেন। জহুরুল হক হলের গেইটে তখন হল ছাত্রলীগের কর্মী অনিক তার বন্ধুদের নিয়ে বসে ছিলেন। তারা ওই তিন ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথা বলতে থাকেন। একপর্যায় ছাত্রীদের বড় ভাই ঘটনার প্রতিবাদ জানয়। এসময় অনিক তার বন্ধুদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে ওই বড় ভাইকে হেনস্থ করেন। এরপর উপস্থিত অন্যান্য লোকজন তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে অনিক হলে কল দিয়ে আরও ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে ডেকে আনে। তারা এসময় ওই বড় ভাইসহ তিন ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করে। এসময় কলম দিয়ে তাদের শরীরে আঘাত করতে থাকে এবং কিল-ঘুষি-লাথি মেরে তাদের মারাত্মভাবে আহত করে। তাদের হামলায় ছাত্রীদের চোখ, পা ছিলে যায়। হাতে, পিঠে বলপেনের আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঘটনার দুই দিন পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর আহত শিক্ষার্থীরা মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও গতকাল তারা লিখিত অভিযোগ করেন। আহতরা থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে চাইলে প্রক্টর তাদের নিষেধ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর সুষ্ঠ বিচার করা হবে বলে আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের অবশ্যই শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দীতে আয়োজিত কনসার্টে অনিক তার বন্ধুদের নিয়ে মেয়েদের শ্লীতহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।