শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

গোলাম আযমের অবস্থা সংকটাপন্ন

golam_27799

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।

দেশের শীর্ষ এই যুদ্ধাপরাধী বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজা ভোগ করছিলেন। আজ সকাল সাড়ে আটটায় হঠাৎ করে তার শ্বাসকষ্ট ও ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে গোলাম আযমের ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানান তিনি।

গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জানান, তাদেরকে সকাল দশটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্ট ও ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় তার বাবাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ১৫ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা ৫ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬১টির অভিযোগের সবক’টিই প্রমাণিত হলেও বয়স বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির পরিবর্তে এ সাজা দেওয়া হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।

পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত ছয়টি, সহযোগিতা সংক্রান্ত তিনটি, উস্কানির ২৮টি, সম্পৃক্ততার ২৩টি এবং ব্যক্তিগতভাবে হত্যা-নির্যাতনের ১টিসহ মোট ৬১টি অভিযোগ আনা হয়েছিল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে। মামলার রায়ে এ ৬১টি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল এ পাঁচ ধরনের অভিযোগের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় অভিযোগে ১০ বছর করে, তৃতীয় ও চতুর্থ অভিযোগে ২০ বছর করে ও পঞ্চম অভিযোগে ৩০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন গোলাম আযমকে। এ সাজা তিনি একাধারে ভোগ করবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে সরকারি-বেসরকারি পদে যেন স্বাধীনতাবিরোধীদের চাকরি না দেওয়া হয়, সেজন্য সরকারকে আদেশ দেন।

একই সঙ্গে জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন’ উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেন, এরা দলবদ্ধভাবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। এ দলটি ১৯৪৭ সালে যেমন পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে, তেমনিভাবে বাংলাদেশ সৃষ্টির সংগ্রামেরও বিরোধিতা করেছে।