Saturday, January 25Welcome khabarica24 Online

গোমতীর ভাঙনের কবলে ২০ গ্রাম

1_15321

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় গোমতী নদীর ভাঙনের কবলে রয়েছে ২০ গ্রামের অনেক বসতবাড়ি, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ।সরজমিনে দেখা যায়, গোমতীর ভাঙনের পর এবার বিলীন হচ্ছে উপজেলার কলাকান্দি, ভিটিকান্দি নারান্দিয়া ও জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বসতবাড়ী, গাছ-পালা ও রাস্তা-ঘাট। বিগত মৌসুমগুলোতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন স্থানে ইটের ব্লক, বালির বস্তা ফেলা ও ডুবন্ত বাঁশ নির্মাণ ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। স্থানীয়ভাবে লোকজনও বাঁশের বেড়া ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে বর্ষার শুরুতেই আকস্মিক এ ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দক্ষিণ নারান্দিয়ার পশ্চিমপাড় ছাড়াও আফজালকান্দি, খানেবাড়ী গৌবিন্দপুর, উত্তর ও দক্ষিণ মানিকনগর, ঘোষকান্দি, দাসকান্দি, হরিপুর বাজার, দুলারামপুর, দড়িকান্দি, নারায়ণপুর, হাইধরকান্দি, আসমানিয়া, নারান্দিয়া পূর্বপাড়, রসুলপুর, জিয়ারকান্দি, শোলাকান্দি ও লালপুর গ্রামের সংলগ্ন অংশেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে ভাঙন রোধে ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। গোমতী নদী এখন তিতাসের দুঃখে পরিণত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিহা ফেরদৌসী জানান, তিতাস অংশে গোমতী নদীর ভাঙন মেরামতের ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো আগ্রহ দেখছি না, তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন খাত থেকে বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলছে। চিলমারীতে ফসল ডুবে কৃষকের মাথায় হাতকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে নদের তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের চিনা-কাউন আবাদসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। এতে কুড়িগ্রামের রৌমারী, চিলমারী ও রাজীবপুর উপজেলার অধীনে প্রায় অর্ধশত চর জনপদের ১ হাজার একর চিনা ও কাউনের আবাদ পানিতে ডুবে গেছে।