বিজ্ঞান কি সত্যিই এমন যে, আজ যা প্রমাণিত হল কাল তা অন্যরকমভাবে প্রমাণিত হবে। নাকি প্রমাণিত সত্যটা শুধুই ধারণা? বিশ্বজগত সৃষ্টির রহস্য ও কারণ হিসেবে এতদিন আমরা যে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের কথা জেনে আসছি সেটিও কি নিছক ধারণা ছাড়া আর কিছু নয়?বর্তমান বিশ্বের প্রখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ঠিক এমনটিই বলেছেন। হকিং দাবি করে বলেন, “কৃষ্ণগহ্বর বলে আসলে এমন কোন কিছুরই অস্তিত্বই নাই। এটি শুধু কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে তিনিই এতদিন বলে আসছেন কৃষ্ণগহ্বরই বিশ্ব জগত সৃষ্টির আদি কারণ।”আমরা জেনে আসছি, বিশ্ব জগতের অপার রহস্য, মানুষের অসীম মুগ্ধতা, আকর্ষণ আর অশেষ কল্পনার উৎস হল কৃষ্ণগহ্বর।তাহলে প্রশ্ন হল, মহাবিশ্বের অজানা রহস্য কি এসব কৃষ্ণগহ্বরই ধারণ করে? সময়ের পরিভ্রমণের প্রধান চাবিকাঠিও কি এই কৃষ্ণগহ্বর হতে পারে!আমরা আসলে নিশ্চিতভাবে কখনো এসব প্রশ্নের উত্তর হয়ত দিতে পারছি না। কারণ বিখ্যাত তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এমনটি মনে করেন না।হকিং বলছেন, “বাস্তবে কৃষ্ণগহ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই।“ তিনি মনে করেন, “আমরা যে কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে ভাবতে শিখে আসছি তার পদ্ধতিতেও এসব কিছুর অস্তিত্ব নেই।”হকিং বলেন, “সরল রেখার অনুপস্থিতিই প্রমাণ করে, অসীমতা থেকে পালাতে পারে না এমন আলো থেকে যে শক্তি আসছে সেটি ভাবলে এখানে কোন কৃষ্ণগহ্বরই নেই।”শনিবার স্টিফেন হকিংয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়াহু নিউজ এ কথা জানায়। “ইনফরমেশন প্রেজেন্টেশন এন্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং ফর ব্ল্যাক হোলস” শিরোনামের এ গবেষণায় হকিং কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে নতুন করে এমনটি দাবি করেন।তাহলে তিনি কি বুঝাতে চান? আসলে হকিং মনে করেন না, সরল রেখার সত্য বলে মূলত কিছু আছে। কারণ মধ্যাকর্ষণ শক্তির ফাঁদগুলো আসে যে আলো থেকে সেটি তো সরতে পারে না।তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি এখনো একটি বিতর্কিত বিষয়। হকিং প্রথম যখন কৃষ্ণগহ্বরের ধারণা দিলেন তারপর থেকে এই বিতর্ক আরো কমপক্ষে ৪০ বছর ধরে চলতে থাকবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।