কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী দ্বারভাঙা হলে এবার বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘চেয়ার’ গড়ার প্রস্তাব দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অ্যধ্যাপক ড. সুরঞ্জন দাস। বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙ্গা হলে বঙ্গবন্ধুর ৩৯ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সুরঞ্জন দাস বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। সাধারন জনগনের কথা চিন্তা করেই বঙ্গবন্ধু প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নিতেন। এমন একটি মানুষের নামে চেয়ার গঠন হলে আমরাও ধন্য হব। তার নামে চেয়ার স্থাপন না করলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো অসম্পূর্ণ থাকবে বলেও মনে করেন অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন দাস।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারপার্সন তথা তৃণমূলের সাবেক সাংসদ ও শিক্ষাবিদ কৃষ্ণা বসু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইন্সিটিউটি অফ এশিয়ান স্টাডিজ এর সিনিয়র ফেলো অধ্যাপক অমিয় চৌধুরী, অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার রায়, অধ্যাপক সন্দীপ দাস, উপ-হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি(প্রেস) মহম্মদ মোফাখ্খারুল ইকবাল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
কৃষ্ণা বসু মনে করেন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো এমন একজন নেতার খুব প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়নেই ছিল তার সার্বক্ষণিক ভাবনা।
অধ্যাপক সন্দীপ দাস বলেন, শেখ মুজিবর রহমান একজন বড় মনের মানুষ ছিলেন। বাংলার কল্যান করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের ব্রত। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সঠিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ এতো দ্রুত স্বাধীন হয়েছে।