পাঞ্জাবকে আবারও হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আইপিএল শিরোপা জিতে নিলো কলকাতা। দারুণ এক মওসুম পার করেও শিরোপা অধরাই রযে গের কিংস ইরেভেন পাঞ্জাবের। অসাধারণ ক্রিকেট, অসাধারণ লড়াই। ব্যাটে বলের দুর্দান্ত লড়াইয়ে বিজয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স। বলিউডি যুদ্ধে জয়ী নায়ক শাহরুখ খান আর বিজিত নায়িকা প্রীতি জিনতা। এবারের আসরে দুদৃান্ত শুরু করেও শিরোপার স্বাদ পেলো না পাঞ্জাব। বাঙ্গালোরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পাঞ্জাবের ৪ উইকেটে করা ১৯৯ রান কলকাতা তিন বল আর তিন উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় কলকাতা।চার বলে প্রয়োজন ছিল চার রান। উত্তেজনা তুঙ্গে দুই শিবিরেই। বল করছিলেন আওয়ানা আর ব্যাট করছিলেন পিযৃষ চাওলা। আগের ওভারে ছক্কা মেরে খেলাকে তিনিই হাতের মুঠোয় নিযে আসেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। প্রথম বলে রান নিতে পারেন নি সুনিল নারাইন। পরের বলে এক রান নিলে ব্যাটিংয়ে আসেন চাওলা। এই স্পিনার ব্যাটসম্যান তৃতীয় বলটিকে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দিলে সকল উত্তেজনা নিমিষেই উবে গেল। মাঠ জুড়ে একদিকে উরøাস আর একদিকে বেদনা। আনন্দে আত্মহারা শাহনরুখ। আর বারবার চোখে পানি মুছছিলেন প্রীতি। এ আসরে চার বারের মোকাবিরায প্রতমবার করকাতাকে হারিয়েছিল পাঞ্জাব। সেটি ছিল আরব আমিরাতে। এরপর দেশে ফিরে টানা তিনবার কলকাতা হারালো পাঞ্জাবকে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও ছিল দলটি চার পয়েন্ট বেশি নিয়ে। কলকাতার পক্ষে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মানিষ পান্ডে। তিনি ৫০ বলে ৯৪ রান করেন। ৬টি ছক্কা আর ৭টি চার মারেন। তিনি ছাড়া ইউসুপ পাঠান ৩৬ ও গৌতম গম্ভীর ২৩ রান করেন। সাকিব আর হাসান ৭ বরে ১২ রান করে রান আউট হন। পাঞ্জাবের পক্ষে চার উইকেট নেন করনবীর সিং। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব ১৯৯ রান করে ঋদ্ধি মান সাহা আর বোহরা ছাড়া কেউই সুবিধা করতে পারেন নি। বিশেষ করে সারা আসর মাতানো ম্যাক্সওয়েল, মিলার, বেইলি এবং আগের খেলায শতরান করা সেওয়াগ সবাই এক অংকের রান করে আউট হন। ঋদ্ধিমান ১১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। বোহরা ৬৭ রান করেন । ফাইনালে এত রানের মধ্যেও ৪ ওভারে ২১ রান দেয়া স্পিনার অক্ষর প্যাটেল সেরা নবীন তারকা নির্বাচিত হযেছেন। সর্বাধিক রানের পুরস্কার পান রবিন উথাপ্পা।