হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল শনিবার দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে প্রায় ১০৬ কেজি সোনার বার আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ফ্লাইটটি অবতরণের পর তল্লাশি চালিয়ে বিমানের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯০৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ বিমানের আনিস উদ্দিন ভুইয়া নামের এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সোনা পাচারকারী চক্র মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে চালানটি টয়লেটে ফেলে রাখার নির্দেশনা দেয়। এই সূত্র ধরেই চালানটি আটক করা গেছে। বিমানবন্দরের কর্মী আনিস উদ্দিনের তথ্যের ভিত্তিতে চোরাকারবারি চক্রটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দারা। সংশ্লিষ্টরা জানান, উদ্ধারকৃত সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৪৮ কোটি টাকা।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মইনুল খান কালের কণ্ঠকে বলেন, গতকাল সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০৫২ নম্বর ফ্লাইটটি দুবাই থেকে এসে ঢাকায় অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফ্লাইটটিতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালানো হয়। দুপুর ২টার দিকে বিমানের পেছনের দিকের টয়লেট থেকে কালো কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। ডিজি মইনুল খান আরো জানান, চোরাচালানে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ বিমানের কারিগরি সহকারী আনিস উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনের কললিস্টে পাচারকারীদের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। আনিসকে তাঁর মোবাইল ফোনে মাসুদ নামে এক ব্যক্তি সন্দেহজনক মেসেজ পাঠায়। পরে এর সূত্র ধরেই চালানটি আটক করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, উদ্ধারকৃত ৯০৫টি সোনার বারের ওজন ১০৫ কেজি ৪০০ গ্রাম। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি ফৌজদারি মামলা হবে।