গণমাধ্যমের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘গঠনমূলক সমালোচনা করেন কোনো সমস্যা নেই। শেখ হাসিনা বা ইনুর তীব্র সমালোচনা করলেও কোনো গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কিন্তু গুজব ছড়াবেন না। মিথ্যাচার করবেন না। নানা বিষয়ে উসকানি দিয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবেন না। এটি করলে খবর আছে।’ তিনি আজ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরাম ২০১৩ সালের সেরা সাংবাদিকদের পুরস্কার ও সম্মাননা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনু বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে পুরো সম্প্রচার জগতকে একটি নীতিমালার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। গণমাধ্যমগুলোর খবর চয়নে মুন্সিয়ানার ওপর অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ভর করে। বাংলাদেশ বসবাসের অনুপযুক্ত গণমাধ্যমে এমন ধারণা দেওয়া ঠিক নয়। সংবাদ পরিবেশনে দেশের জনগণের স্বার্থের কথা ভাবা উচিত।’
টেলিভিশন সাংবাদিকদের উদ্দেশে ইনু বলেন, ‘সাংবাদিকরা সম্প্রচার নীতিমালা মানছেন না। দুর্ঘটনা বা মানবিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ঘটনাস্থলে তাত্ক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া চেয়ে মুখের কাছে ‘বুম’ ধরা ঠিক নয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে প্রকৃতিস্থ থাকে না। ফলে তার কাছে প্রতিক্রিয়া চাইলে তা মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে।’অনুষ্ঠানে ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরাম ২০১৩ সালে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৮টি পুরস্কার প্রদান করে। সেরা উপস্থাপক পুরস্কার জেতেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের খালেদ মুহিউদ্দিন, সেরা উপস্থাপিকা হন একাত্তর টেলিভিশনের নবনিতা চৌধুরী। সেরা বিনোদন টেলিভিশন নির্বাচিত হয় এটিএন বাংলা, সেরা সংবাদভিত্তিক চ্যানেল নির্বাচিত হয় একাত্তর টেলিভিশন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বিভিন্ন চ্যানেলের পাঁচজনকে পুরস্কৃত করা হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কেবল টিভি দর্শক ফোরামের সভাপতি এরফানুল হক নাহিদ। বক্তব্য দেন ‘সেরা সাংবাদিক পুরস্কার’ এর স্পন্সর ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লাইফ স্টাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলিপ কুমার আগারওয়াল, কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ, পুরস্কার প্রদান কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ সিরাজ প্রমুখ।