ইয়েমেনে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মার্কিন ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১৩ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ওই হামলায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। বরযাত্রীদের সঙ্গে জঙ্গি সদস্যরাও ছিল কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় এক সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন ড্রোনটি বরযাত্রী বহনকারী গাড়ি বহরকে আল-কায়েদার গাড়ি বহর মনে করে হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে। অবশ্য, এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলছিলেন, বরযাত্রীদের সঙ্গে জঙ্গিদের একটি দলও ছিল। তবে, নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র থেকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও এনডিটিভি। আল-বাইদা প্রদেশের ওই শহরতলিটি শীর্ষ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ইয়েমেনে জঙ্গিবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগেই। তারই অংশ হিসেবে ইয়েমেনের জঙ্গি অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে মার্কিন ড্রোন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু, সুনির্দিষ্ট কোন হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি প্রকাশিত হয় না। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ধরনের অভিযানের ঘোর-বিরোধী। যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে বেআইনীভাবে মানুষ হত্যা করছে বলে সংগঠনগুলোর অভিযোগ। এরই মধ্যে সেখানে এ ধরনের হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।