সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ইবোলা ভাইরাস: সিলেটে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা

ebolo virus_23396

প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে সিলেটে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা নেয়া হয়েছে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তিনটি শুল্ক স্টেশনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চারটি বিশেষ দল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ মেডিকেল টিমের সদস্যরা এই চারটি বিমানবন্দর ও শুল্ক স্টেশনে সোমবার থেকে বিদেশ থেকে আসা লোকজনকে পর্যবেক্ষণ এবং তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন।

একইসঙ্গে সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতালে তিন শয্যার পৃথক একটি ওয়ার্ডও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনো রোগী নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ টিমটি ওই ব্যক্তির শরীর থেকে রক্তের বা মুখের লালার নমুনা সংগ্রহ করবেন। পরে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ওই নমুনা পাঠানো হবে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসিতে (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল)। আর বিশেষ চিকিৎসায় প্রাথমিক পর্যায়ে ওই নাগরিককে পাঠানো হবে সিলেট বক্ষব্যধি হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে ৩ শয্যা বিশিষ্ট একটি ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. আজহারুল ইসলাম মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইবোলা ভাইরাস সংক্রমিত পশ্চিম আফ্রিকার চার দেশ থেকে আসা নাগরিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চারটি বিশেষ দলকে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে ডা. শেখ ইমদাদুল হককে টিম লিডার করে ওসমানী বিমানবন্দরে, ডা. মাসুম আহমদকে বিয়ানীবাজার উপজেলার সুতারকান্দি চেকপোস্টে, ডা. সুবল চন্দ্র বর্মণকে টিম লিডার করে তামাবিল স্থলবন্দর এবং ডা. মামুন অর রশীদকে জকিগঞ্জ উপজেলার কাস্টমস চেকপোস্টে (স্থলবন্দর) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ গাউন ও মাস্ক পরিহিত চিকিৎসকরা এসব বন্দরে সন্দেহভাজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, পশ্চিম আফ্রিকার চারটি দেশ লাইবেরিয়া, গিনি, সিয়েরালিওন ও নাইজেরিয়ায় এবোলা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ভাইরাস প্রতিরোধে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভাইরাসটি ছোয়াচে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি ৪০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বলে জানা গেছে।