ইউসিবি-বিসিবি একাদশ আগের দিন রোমাঞ্চকর জয় না পেলে একদিন আগেই সাকিব আল হাসানের প্রাইম ব্যাংকের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত। তবে কাল আর সমীকরণের জন্য অপেক্ষা করতে হল না প্রাইম ব্যাংককে। আবাহনীকে ১৬ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করল তারা। এনামুল হকের হাফসেঞ্চুরির পর বোলিংয়ে কেউ সুবিধা করতে পারেননি। সাকিব আটজন বোলার দিয়ে বোলিং করিয়েছেন। ১৬ রান দূরে থাকতে থেমেছে আবাহনী। টুর্নামেন্ট ছয় ম্যাচে চারটি জয় পেল প্রাইম ব্যাংক। বিজয় দিবস টি ২০ চ্যালেঞ্জ কাপ একেবারেই বাজেভাবে শেষ করল আবাহনী। ফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়েছিল আগেই। এদিন ষষ্ঠ ম্যাচে পঞ্চম হারে টুর্নামেন্ট শেষ করল তারা। টস হেরেই ব্যাট করতে নেমে আবারও জ্বলে উঠলেন এনামুল হক। টুর্নামেন্টে নাবিল সামাদের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে করেন ৬৯। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়। শুরুটা কিন্তু একেবারেই ভালো ছিল না। লিটন কুমারকে ১৫ রানে ফেরান নাবিল সামাদ। এরপর অধিনায়ক সাকিব ও পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা সাব্বির রহমানের ব্যাটিংয়ের ১৭৫-এ পৌঁছে প্রাইম ব্যাংক। দুটি করে উইকেট নেন নাবিল সামাদ ও মাহমদুউল্লাহ। ১৭৬ তাড়া করতে নেমে মুশফিকবিহীন আবাহনীর শুরুতে ভালো করলেও হঠাৎ ছন্দ হারিয়ে ফেলে। ৫৩ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। এরপর ৯১ রানে পাঁচ উইকেট হারালেও পরে আর উইকেট পড়তে দেননি নাজমুল মিলন ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। দ্রুত রান তুলতে না পারায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৯-এ থেমে যেতে হয় তাদের। ২০ ওভার পূর্ণ করতে সাকিব আট বোলারকে কাজে লাগান। প্রাইম ব্যাংক ১৭৫/৬, ২০ ওভারে (এনামুল হক ৬৯, সাকিব আল হাসান ২৫, সাব্বির রহমান ২৬। নাবিল সামাদ ২/৪০, মাহমুদউল্লাহ ২/২০)। আবাহনী ১৫৯/৫, ২০ ওভারে (মাহমুদউল্লাহ ২০, নাজমুল মিলন ৪৬*, সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩৫*)। ফল : প্রাইম ব্যাংক ১৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : এনামুল হক (প্রাইম ব্যাংক)।