১৬ মার্চ- ঝোরো ব্যাটিং আর দুর্দান্ত বোলিং-এ বাংলাদেশের সামনে দাড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় নিয়ে অনেক আশার কথা শোনালেও মাঠের পারফর্মেন্সে তা মোটেই প্রমান করতে পারেননি মোহাম্মদ নবিরা। ৪৮ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে জিতে যায় বাংলাদেশ।৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করছিল বাংলাদেশ। তামিম আর এনামুলের মারমুখী ব্যাটিং-এ শুভ সুচনা করেছে বাংলাদেশ।শেনওয়ারির বলে ২১ রানে এল বি ডব্লিউ হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন তামিম। এনামুল করেন অপরাজিত ৩৮ রান।এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৪ এর প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাত্র ৭২ রানেই অলআউট হয়েছে আফিগানিস্তান।আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বোলিং আক্রমণে নেমে প্রথম ওভারেই সফলতা পেয়েছে তারা।
মাশরাফি মুর্তজার প্রথম বলে মোহাম্মদ শাহজাদ কভারে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হন। প্রথম ওভারে ডানহাতি পেসার দিলেন মাত্র একটি রান, পেলেনও একটি উইকেট।নাজিব তারাকাই আর গুলবাদিন নাইবের ব্যাটে আফগানরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। ৩৬ রানের জুটিও গড়েছিলেন দুজন। কিন্তু পরপর দু বলে এই দুজনকে তুলে নিয়েছেন সাকিব। ইনিংসের সেটি ষষ্ঠ ওভার। সেই ওভারে সাকিবের হ্যাটট্রিকটা হয়নি। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর করা পরের ওভারের প্রথম বলেই সাব্বিরের সরাসরি থ্রোয়ে আরেকবার উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।
ফর্মের সঙ্গে যুঝতে থাকা রাজ্জাকও যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের দশম ওভারে তিনি ফিরিয়েছেন আফগান অধিনায়ক নবীকে। দ্বাদশ ওভারেই ফরহাদ রেজার সরাসরি থ্রোয়ে সাদিক ফিরলে আরও ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়া কাপে ৬৯ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে অঘটনের ঘটন-পটিয়সীর ভূমিকা পালন করেছিলেন সলিমুল্লাহ শেনওয়ারি। আজ তাঁকে ১ রানেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন রাজ্জাক। ১৪তম ওভারের শেষ বল ছিল সেটি। পরের ওভারের প্রথম বলেই শফিকুল্লাহকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মাহমুদউল্লাহ। ৬৯ রান ৮ উইকেট নেই আফগানদের! স্কোর বোর্ডে আর দুই রান যোগ হতেই ফিরলেন দৌলত জাদরানও। এর পর আক্রমণে এসেই আফগান ইনিংস মুড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করেছেন সাকিব, শাপুর জাদরানের স্টাম্প উপড়ে ফেলে।