ভাগ্য রজনী হিসেবে পরিচিত পবিত্র শবে বরাত আজ সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হবে।ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদ ও বাড়িতে নামাজ আদায়, পবিত্র কোরান পাঠ এবং আল্লাহর রহমত ও নিজেদের, তাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব এবং সর্বোপরি দেশ ও মুসলিম উম্মাহর, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করবেন।
শবে বরাতকে অত্যন্ত পবিত্র তিন রজনীর একটি মনে করা হয় এবং বিশ্বাস করা হয় যে, ওই রাতে মহান আল্লাহ পরবর্তী এক বছরের জন্য সব মানবকূলের ‘রিযিক’ দান করে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন।
এ রাতে সারা দেশের মুসল্লিরা তাদের মৃত্যুবরণকারী প্রিয় মানুষদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং অনেকে মাজারও জিয়ারত করেন।আগামীকাল বিকেলে সারা দেশে গ্রামে ও শহরে হাতে বানানো চালের রুটি, মাংস ও হালুয়া তৈরি হবে।এ উপলক্ষ অনেক মুসল্লিরা চার দিন রোজা পালন করেন। তারা পাড়া-প্রতিবেশী ও দরিদ্র লোকদের মাঝে খাদ্য ও মিষ্টি বিতরণ করবেন।এ উপলক্ষে দরিদ্র-অসহায় লোকদের মাঝে খাদ্য ও অর্থ বিতরণ করা হবে।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।পৃথক বাণীতে তারা সবার জন্য শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনী বার্তা নিয়ে পবিত্র শবে বরাত আমাদের মাঝে সমাগত। এই মহিমান্বিত রজনী মানবজাতির জন্য আল্লাহতায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে পবিত্র শবে বরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সৌভাগ্যের এই রজনী মানবজাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এই রাতে তিনি ক্ষমা প্রদর্শন ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের কুসংস্কার ও কূপমণ্ডকতা পরিহার করে শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সব স্তরে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।এ দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, হামদ, নাত, মিলাদ, জিকির ও দোয়া-মাহফিলসহ দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে।বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।তা ছাড়া, দৈনিক সংবাদপত্রগুলো শবে বরাতের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে।