থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধী বিােভকারীরা রাজধানী ব্যাংককের সেনাসদর দফতরে ঢুকে পড়েছে এবং সেখানে অবস্থান করছে। শুক্রবার বিােভকারীরা থাই সেনাদের তাদের বিােভে যোগ দেয়ার আহ্বান জানায়। এ দিকে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। বিবিসি ও এএফপি। সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করতে বিােভকারীরা মতাসীন দলের সদর দফতর দখলের টার্গেট করায় সেখানে কয়েক শ’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এক থাই সেনা মুখপাত্র জানিয়েছে, বিােভকারীরা সেনা সদর দফতরের মূল ফটক জোর করে খুলে ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং সেখানে অবস্থান করছে। তবে এ সময় সেনাপ্রধান সেখানে ছিলেন না বলে জানান তিনি। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তার পদত্যাগের দাবিতে ছয় দিন ধরে চলমান বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে এ কথা বলেন তিনি। ইংলাক বলেন, তার দেশের পরিস্থিতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো যথেষ্ট শান্ত নয়। সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয় দখল করে রাখা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের আদেশ দেবেন না বলেও জানান তিনি। বিক্ষোভকারীরা জোর করে সেনা সদর দফতরে ঢুকে পড়ে সেখানে বিক্ষোভ করার পর তিনি এ কথা বলেন। ইংলাক বলেন, তিনি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও বিক্ষোভকারীরা তাতে সন্তুষ্ট হবে বলে তিনি নিশ্চিত নন। বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটে টিকে যাওয়ার পর বিক্ষোভ অবসানের আহ্বান জানান ইংলাক। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা সুতেপ থাউগসুবানের এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। এ দিকে হাজার হাজার বিােভকারী সেনা সদর দফতরের চত্বরে সমবেত হয়েছেন এবং তাদের সমর্থনে বিােভে যোগ দেয়ার জন্য সেনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। ব্যাংককে পুলিশ সদর দফতরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার এক দিন পর গতকাল বিােভকারীরা ইংলাকের পিউ থাই পার্টি সদর দফতর অভিমুখে যাত্রা করার ঘোষণা দিয়েছে। ইংলাক ও তার দল পার্লামেন্টে একটি অনাস্থা ভোটে সহজ জয় পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ ঘোষণা দেয়া হয়। পুলিশের জাতীয় উপপ্রধান ওরাপং সিওপ্রিচা জানান, ‘আমরা পিউ থাই পার্টির সুরার আবেদনের পরিপ্রেেিত তাদের সদর দফতরে দুই কোম্পানি (প্রায় তিন শ’) পুলিশ মোতায়েন করছি।’ প্রায় তিন মাস ধরে বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের এ আন্দোলন চলে আসছে এবং এতে এ পর্যন্ত ৯০ জন নিহত ও এক হাজার ৯০০ আহত হয়েছে। বিরোধী দল বলে আসছে, ইংলাকের সরকার ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য বিরোধী দলের এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক। থাইল্যান্ডের মতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দেশের ফেরার আশঙ্কা ও তার প্রতি প্রবল ঘৃণা থেকে জনগণ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে বিােভে ফেটে পড়ে।
উৎস- নয়াদিগন্ত