সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদার বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুল খারিজ করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে হাইকোর্ট। বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে জানিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার কথা জানানো হলে আদালত শামসুল হুদাকে অব্যাহতি দেয়। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেয়। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে ‘নো রুল অব ল’ শিরোনামে ড. এটিএম শামসুল হুদাকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমলে নিয়ে গত ১৮ই মে হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। একই সঙ্গে তাকে হাইকোর্টে হাজির হতেও বলা হয়। ওই নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল সকালে তিনি হাইকোর্টে হাজির হন। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. কামাল হোসেন। শুনানির শুরুতে আদালত শামসুল হুদাকে বসতে বলেন। ড. কামাল হোসেন রুলের জবাব ও বক্তব্যের অনুলিপি আদালতে দাখিল করেন। এসময় ডেইলি স্টারের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম বলেন, আমাদের ওই রিপোর্টটি ভুল ছিল। ২৯শে মে পত্রিকায় আমরা পাবলিকলি ক্ষমাও চেয়েছি। হাইকোর্ট বলেন, এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। উনি (ড. শামসুল হুদা) সম্মানিত লোক। এটা উনার জন্য এবং সবার জন্য ক্ষতিকর। পরে আদালত রুল খারিজ করে ড. এটিএম শামসুল হুদাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। গত ১৭ই মে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার-ইনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) উদ্যোগে ‘রাজনৈতিক দলসমূহ এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন এটিএম শামসুল হুদা। পরদিন ওই বক্তব্য ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।