শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

২০১৭ বই মেলায় কবি ওবাইদুল হক এর ১টি একক বই সহ মোট ৫টি বই

16730866_1756414038010437_1746300919_n

২০১৭ বই মেলায় কবি ওবাইদুল হক এর  মোট একক বই (ভুলুনি মাতৃভূমি) আর যৌথ বই সহ মোট পাঁচটি বই এসেছে মেলায়।
এ নিয়ে কবি ওবাইদুল হক এর  একক বই মোট পাঁচটি প্রথম বই  ১। কষ্ট তোমায় এত দিনে চিনলাম। ২। মা স্বদেশের মাঝে তোমায় খুঁজি।

৩। বিধুর বিসর্জন
16706798_1756413988010442_1286515079_n

৪. ভুলিনি মাতৃভূমি। একক সব গুলো বই নন্দিতা প্রকাশনী। বাংলা বাজার ঢাকা। 


16729647_1756413984677109_709135326_n

৫। কষ্টের প্রবাস।

418675757_n

যৌথ কাব্য, শব্দ মেঘ, স্বপ্ন সুখের সারথি,স্বপ্ন সিঁড়ি। লাল সতবুজের পতাকা, প্রবাসের গল্প ২।

কেন বই লিখি ঃ

প্রতিটি মানুষের কিছু মনের আনন্দ বেদনার চাহিদা থাকে। কেউ গান গেয়ে সে আনন্দটা উপভোগ করে, আবার কেউ গান শুনে আনন্দটা উপভোগ করে। তবে আমার ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা সেটা আমার একান্তই, আমার লেখার মাঝে আমি আমার মরহুম মাতাকে আনোয়ারা বেগমকে,  সারাটা জীবন বাঁচিয়ে রাখতে চাই। কারণ শৈশবে অবেলা মাকে হারিয়ে যখন প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেলাম, তখন এই কলমের কালি ছাড়া বাকি অবশিষ্ট আমার কিছুই ছিলনা। পরিবারের বড় ছেলে আমি।২০০৫ সালে  মা যখন ব্লাড  ক্যান্সারে   মারা যায়, ছোট বোন রুপার বয়স মাত্র সাত বৎসর। কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সংসার সংগ্রামে আরব-আমিরাতে প্রবাস জীবনে   পরিবারে হাল ধরি। যে কষ্ট আমার একান্ত সে কষ্ট কেউ অনুভব করার মত নেই। সেই প্রবাসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা লিখে মনের দুঃখ আনন্দ বেদনাকে স্মরণ করি। তবে যাঁরা আমাকে কবি বলে সেই কবিত্ব মানতে আমি নারাজ। কারণ কবি নামটা অনেক অর্থবহ। নামের পাশে সে নাম যোগ করার সে যোগ্যতা আমার কখনো হবে বলে আমি মনে করিনা। কারণ মা মারা যাবার পর আর লেখা পড়া হয়ে উঠেনি।  কবিতা লিখি আমার মনের স্বাধীনতা থেকেই। সেই স্বাধীনতা সারাজীবন বেঁচে থাকবে আমার মনের মাঝে।   দেশ প্রেম,মাতৃত্ববোধ,হত দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু করা, অসহায়দের জন্য কাব্যের মাধ্যেমে তাদের সহযোগিতা করা এটাই আমার মূল উদ্দ্যেশ। তবে স্বপ্ন আছে মায়ের নামে নিজ গ্রামে একটা ক্যান্সার হাসতাপাল করার।  যদি আল্লাহ্ কোনদিন সেই তৌফিক দান করেন রাঙ্গুনিয়ার মানুষের সেটা করে যাব। সেই স্বপ্নের ভিবোর হয়ে এখনো কাব্য রচনা করি। মানুষ মাত্রই ভুল, সেই থেকে শিখতে আমি সব সময় প্রস্তুত। আর কাব্য হল একজন কবির মূল্যবান সম্পদ। সেই সম্পদকে যেন পাঠকরা যথাযথ সম্মান করেন। এখানেই একজন কবির কাব্য লেখার সার্থকতা।

আর কারো বই আছে কিনা ঃ

আমার জানা মতে রাঙ্গুনিয়াতে আর কারো নতুন বই এসেছে কিনা জানা নেই। নতুন লেখক  তৈরি না হওয়ার কারন হল পাঠক অনীহা। এই বিশ্বয়ানের যুগে এত লম্বা সময় কেউ দিতে চাইনা। সে জন্য অনেক মূল্যবান লেখক, বা মূল্যবান লেখা পাঠকের আঁড়ালে   থেকে  যাচ্ছে। তবে হা নুতন প্রজন্মরা নতুন করে আবিষ্কার করবে তাদের কর্মে।অনেক প্রতিভবান তরুণ আছে তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করলে আগামীর রাঙ্গুনিয়া রঙিন হয়ে উঠবে এটা বাস্তব। এই নতুন প্রজন্ম প্রতিভবান তরুণরা শুধু মাধ্যমের অভাবে অকালে হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের   সঠিক সত্য মহত্বের অভাবটা বেশিই দেখি।এই তরুণরা চাইলে তাদের সুন্দর করে বিকাশ করতে পারে। তাদের স্বপ্নকে সেটা যদি প্রবীণরা শিখিয়ে দেয় তাহলে তারা সত্যটা গ্রহন করবে এটাই আমার বিশ্বাস।