শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে সিএনজি ও সেফলাইনে চোরচক্রের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারন জনগন


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পুলিশ প্রশাসন যেই মুহুর্তে রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে ব্যস্ত ঠিক সেই মুহুর্তে একটি চক্র ঘটিয়ে চলেছে চুরি, ছিনতাই এর মতো অগনিত ঘটনা। বিশেষ করে মহাসড়ক ও গ্রামীন জনপদের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরাই তাদের টার্গেট। সিএনজি ও সেফলাইন চালক শ্রমিকদের যোগসাজোসে একশ্রেনীর চোর- ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট এর হাতে মূল্যবান মোবাইল ফোন, টাকা, স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণ খোয়ানোর অভিযোগ সহ যাত্রী হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়। বিশেষ করে ভোর সকাল ও বিকেলের চক্র এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগে জানা যায়। আবার অনেক সময় প্রকাশ্য দিবালোকে ও ঘটছে এমন বিভিন্ন অপরাধ।
সম্প্রতি মীরসরাইয়ে মিঠাছরা বাজার কেন্দ্রীক সিএনজি চালকদের একটি অসাধু চক্র গত কয়েক মাস ধরে রাতের আঁধারে যাত্রীদের সর্বস্ব ছিনতাই মত ঘটনা ঘটে। জানা যায় গত ২৭ জানুয়ারী রাত দেড়টায় মিঠাছড়া উত্তর বাজার থেকে পুর্ব কাটাছড়া আমান উদ্দিন ভুঁইয়া বাড়ীর নুরুল করিম বাড়ি উদ্দ্যেশ্যে যাওয়ার পথে ঠাকুর দিঘি সেবাখোলা টেকে সিএনজি চালকের সহযোগিতায় ছিনতাইকারীরা ধারালো চুরি ঠেকিয়ে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও মালামাল সহ ছিনতাই করে নিয়ে যায় । এমনকি এক পর্যায়ে ছুরির কোপ ও বসিয়ে দিলে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুর্গাপুরের কালিতল এলাকা থেকে স্থানীয় জনসাধারণ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকেè ভর্তি করে। এই ব্যাপারে নুরুল করিমের বড় ভাই নুরুল হুদা জোরারগঞ্জ থানায় একটি জিডি ও এন্ট্রি করে। গত ৪ জানুয়ারী তেতৈয়া গ্রামের হানিফ শীতল পাটি বিক্রি করে মিঠাছরা থেকে যাওয়া পথে ভাঙা দোকানা এলাকায় ভোর রাত্রে সিএনজি ছিনতাইকারীর চক্রের আক্রমনে গুরুতর হয়ে সর্বস্ব নিয়ে যায়। একই ঘটনার স্বীকার হয় গত ১১ জানুয়ারী পান্তাপুকুর এলাকার ব্যবসায়ী ফজলুল হক । ১২ জানুয়ারী বামনসুন্দর সড়কের কাশেম চেয়ারম্যান রাস্তার মাথায় নগদ টাক,া কম্বল ও দুটি এনরয়েড সেট সহ মালামাল ছিনতাইয়ের স্বীকার হয় স্থানীয় ভুঁইয়া বাড়ীর আলতাফ হোসেন। গত ২ ফেব্রুয়ারী সুফিয়া রোড এলাকায় ইবনে সিনা ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি সোহেল রানার কাছ থেকে কোম্পানীর ২২ হাজার টাকা সহ মোবাইল ছিনিয়ে নেয় একটি চক্র।
ইতিমধ্যে মীরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ও বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজনকে আটক করেছে। কিন্তু ঘটনার তুলনায় আটক খুবই নগন্য। ভিডিও ফুটেজ এর মাধ্যমে বামনসুন্দর বাজার থেকে এই চক্রের অন্যতম সদস্য মোটবাড়িয়া গ্রামের জালাল আহম্মেদের ছেলে হেলালকে গ্রেফতার করেন জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। হেলাল অনেক সদস্যের নাম পুলিশকে জানিয়েছে। এর বাহিরে ও রয়েছে বিশাল চক্র। যাদের কঠোর হস্তে দমন করা না গেলে মানুষের নিরাপত্তা দিনে দিনে হুমকীর মুখে পতিত হচ্ছে।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন আমরা ইতিমধ্যে অনেক চোর ও ছিনতাইকারীকে আটক করেছি। শীঘ্রই আরো ব্যাপক অভিযান শুরু করা হবে।