শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে স্কুল ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

Mirsarai JB School bikhob pic13.6.15-1
নিজস্ব প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে জে.বি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ফারহান সাকিবকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খুনীদের ফাঁসির দাবীতে কালো ব্যাজ ধারণ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন সড়কের জোরারগঞ্জ বাজার এলাকায় শনিবার (১৩জুন) দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচীতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সহপাঠীরা। শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করে সাধারণ জনতা, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। অবিলম্বে সাকিব হত্যার সাথে জড়িত প্রধান আসামী সরওয়ারকে গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয় কর্মসূচী থেকে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ার হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা।

নৃশংসভাবে খুনের শিকার স্কুল ছাত্র সাকিবের সহপাঠী নুসরাত জাহান, সানজিদা তাবাচ্চুম, সীমা চক্রবর্তী, তুহিন, তারেক, হৃদয়, ইমন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘সাকিব নেই এটা ভাবতেই পারছিনা। সে আছে স্মৃতিতে। ক্যাম্পাসের হাস্যেজ্জ্বল বন্ধুটি আমাদের পাশে নেই এটা কোন ভাবেই মানতে পারছিনা। সাকিবকে খুব মিস করছি। সাকিবের খুনীদের ফাঁসি চাই।’

হত্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক সুভাষ সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্কুলের সভাপতি চেয়ারম্যান মকছুদ আহম্মদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি বড়–য়া, বাজার কমিটির সভাপতি প্রসার কান্তিবড়–য়া, নিহত স্কুল ছাত্র সাকিবের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম রুবেল, প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা টুইংকেল বড়–য়া, মোঃ জাবেদ, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক মানারাত আহম্মদ চৌধুরী বাবু প্রমুখ।

প্রসঙ্গত : জেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র আরফান শাকিব নামের স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা করে অপহরণকারীরা। ঘটনার ৬ দিন পর গত ১২ জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের নয়টিলা এলাকার গহীন পাহাড়ের নীচ থেকে শাকিবের মস্তক ও হাত বিছিন্ন গলিত লাশ উদ্ধার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। সে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ধুম ইউনিয়নের মোবারকঘোনা গ্রামের নাছির আহম্মদের পুত্র। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল কনিষ্ঠ। অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হোসনে মোবারক রুবেল ও শহীদুল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপর দুই ঘাতক এখনো পলাতক।