শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বৈদেশিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :বৈদেশিক সহায়তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে সম্প্রসারণশীল অর্থনীতির দেশ চীন।

২০০০-২০১৪ সাল এই ১৫ বছরে বিভিন্ন দেশে চীন তাদের বৈদেশিক সহায়তা বাড়িয়েছে। আর এর মাধ্যমে বিশ্বে আরো বেশি প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার করছে দেশটি। একই কারণে এখনো পিছিয়ে না পড়লেও খুব বেশি অগ্রসর হতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র।

এআইডি ডট ওআরজি নামে ওয়েবসাইট জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে ১৪০টি দেশে ৩৫৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে চীন। এ সহায়তার আওতায় বিভিন্ন দেশে ৪ হাজার ৩০০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ৩৯৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।

উভয় দেশ গত ১৫ বছরে এ পরিমাণ সহায়তার অর্থ বিভিন্ন দেশে বিতরণ করেছে। তবে সহায়তার ধরনে পার্থক্য রয়েছে। চীনের বিতরণ করা সহায়তার মধ্যে অনুদান বা দান ২১ শতাংশ এবং ৭৯ শতাংশ ঋণ আকারে দেওয়া হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার মধ্যে ৯৩ শতাংশই দান বা অনুবাদন, যা উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক খাতে ব্যয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করার ঘোষণা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কল্যাণমূলক তহবিলের বরাদ্দ কমিয়ে আনতে কাজ করছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত চীনের জন্য নতুন সুযোগ করে দিয়েছে। আরো বেশি সহায়তার হাত বাড়িয়ে বিশ্বে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ লুফে নিচ্ছে চীন।

এদিকে, চীনের অর্থনৈতিক সহায়তা বেশি পেয়েছে তাদের পছন্দের দেশগুলো। রাশিয়া ৩৫ দশমিক ৬, পাকিস্তান ২৪ দশমিক ৩, মালি ১৬ দশমিক ৫, অ্যাঙ্গোলা ১৬ দশমিক ৫, ইথিওপিয়া ১৫ দশমিক ৪, শ্রীলঙ্কা ১২ দশমিক ৭, লাওস ১২, কাজাখস্তান ১১ দশমিক ৭, ভেনেজুয়েলা ১১ দশমিক ৩, তুর্কমেনিস্তান ১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা পেয়েছে।

কৃষি, বনায়ন, মৎস্য চাষ, শিল্প, খনি, অবকাঠামো, পরিবহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ, যোগাযোগ খাতেই বেশি সহায়তা দিয়েছে চীন।