শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বেগমগঞ্জের অপহৃত ব্যবসায়ী ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার

21751_31

অপহরণের ২২ ঘণ্টা পর বেগমগঞ্জের ব্যবসায়ী আবুল বাসারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর হরিবল্লভপুর গ্রামের জামে মসজিদসংলগ্ন হোসেনের চা দোকান থেকে তিনি অপহৃত হন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার বারইচতল গ্রাম থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভা-ারী নবী, মানিক বাহার, বেল্লাল, রুবেল ও শেফালী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি পুলিশ আমলে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলাজুড়ে অভিযান পরিচালনা করে। অপহরণের ২২ ঘণ্টা পর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার বারইচাতল এলাকার জিরতলী ইউপির রোড পুলের ওপরে একটি রাস্তায় চোখ, মুখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহরণকারীরা অপহৃত আবুল বাসারকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ভিকটিমের ভাই আবুল হোসেন বাদী হয়ে পুলিশ আমির হোসেনের পুত্র মো. রুবেল (২৭), মানিক হোসেনের পুত্র জনি (২৪), নুর মোহাম্মদ চৌধুরীর পুত্র আবদুল (২০), আবুল হোসেনের পুত্র ফরহাদ (২৫) ও গৃহবধূ বেবী বেগমসহ ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি অপহরণের মামলা করে। এদিকে, পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাংলাবাজার এলাকা থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নুর আহাম্মদ চৌধুরীর পুত্র আবদুল (২০), বেবী বেগম (৫০)-কে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ী আবুল বাসার জানান, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পূর্ব মুহূর্তে তিনি তার বাড়ির সামনের একটি চা-দোকানে বসেছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে ৩ জনসহ দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে তাকে আবজাল রোডের ৪নং পোলের ইট ভাটার ভিতরে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে সকাল ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ইট ভাটায় আটকে রাখে। পরে ফের ৪টা বারইচারতল গ্রাম হয়ে আলাদি নগর নিয়ে যায়। পুলিশের মোবাইল ট্র্যাকিং ও অভিযানের খবর শুনে রাজগঞ্জ বাজার নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার হুমকি দেয়। বিভিন্ন মিডিয়ায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার ও পুলিশের ভয়ে অপহরণকারীরা ২২ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর বাংলাবাজার এলাকায় তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে তিনি তার স্ত্রীকে ফোনে বিষয়টি জানান। তার স্ত্রী জোবায়দা বেগম বিষয়টি বেগমগঞ্জ থানায় জানালে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।