বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

বন্য হিংস্র বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করে অনন্য নজির স্থাপন করল এক যুবক

বন থেকে আসা বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করে অনন্য নজির স্থাপন করেছে সোহেল। মানুষের সাথে মানুষের বন্ধুত্ব হয় এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষের সাথে কুকুর এবং বিড়ালের বন্ধুত্ব এটা অহরহ দেখা যায়। যেহেগু ওগুলো গৃহপালিত প্রানী। মানুষের সাথে পশু পাখির বন্ধুত্ব এটাও প্রায়ই দেখা যায়। তবে পশু পাখির সাথে বন্ধুত্ব করে বিশেষ করে খুবই হিংস্র এবং মাংসাশী প্রানী বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করে সকল বন্ধুত্বের রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন এক যুবক। আর এই অসাধ্য সাধন করে এক যুবক এখন তার কমিউনিটিতে খুবই জনপ্রিয়।

যেখানে তার মতোই অনেক যুবক সচরাচর অন্য মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে সেই বন্ধুত্ব বেশী দিন টিকিয়ে রাখতে পারেনা। সেখানে এই যুবক কিভাবে একটি হিংস্র এবং মাংসাশী পশুর সাথে এত সুন্দর এবং সুগভীর বন্ধুত্ব করলো সেটা এখন জনগণের মুখে মুখে ফেরে।  মুক্তমঞ্চ.কম এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি খুঁজে বের করেছে। বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করে অনন্য নজীর তৈরী করলো আবদুল্লাহ সোহেল নামের এক ব্যক্তি। বাঘটির নাম মুলান। সে বাঘটির ৩ মাস বয়স থেকে দেখা শোনা করছে।

খন এক বন্ধু আর এক বন্ধুকে ছাড়া একটি দিনও থাকতে পারেনা। আশ্চর্য হলেও সত্যি ইন্দোনেশিয়ার মালানের ঐ বাঘটির মাংসের চেয়ে বেশি পছন্দের খাবার নুডুলস। বাঘটির ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ সোহেল বলেন, আমি খুশি যে আমি বাঘের সাথে বাস করতে পারছি। আমি তার স্বভাব, তার চিন্তা ভাবনা বুঝার চেষ্টা করি। আমি তার সাথে খেলা করি। তবে একবার তার নখের আঘাতে আহত হয়েছিলাম। আমার ভাগ্য ভাল ছিল যে আমার চোখটা বেঁচে গিয়েছিল। সে আমার চোখের নিচে আচঁর কেটেছিল। যদিও এটা একটা দূর্ঘটনা ছিল তবে আমি জানি তা তার ইচ্ছাকৃত ছিল না।

ইন্তু তারপরও আমি প্রতিদিন তার সাথে খেলার ঝুঁকি নিই। তাকে সারা দিনই খাওয়াতে হয়। সে যখন থেকে এসেছে আমি সব সময় তার খেয়াল রাখি। আমি তার সাথে রাতেও থাকে। আমার চলে যাওয়াটা সে পছন্দ করেনা। বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করে এমন নজীর পৃথিবীর আরো কোথাও আছে কিনা আমাদের জানা নেই। এই ঘটনার বিশেষত্ব হচ্ছে এই যে, নিজ গৃহে বাঘ নিয়ে যুবকটি বসবাস করছে।