বিনোদন ডেস্ক:প্রেম ভালোবাসা ছাড়া বিনোদন দুনিয়ার কথা ভাবা যায় না। তবে এক্ষেত্রে বলিউড যেন এক ধাপ এগিয়ে। ক্যারিয়ার বাঁচিয়ে রাখতে বা প্রচারের আলোয় থাকার জন্য জন্য বলিউডের তারকাদের পরস্পরের ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটা এখন যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাদের কাছে এ যেন প্রেম প্রেম খেলা! হঠাৎ করেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জোরদার জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন তারা। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতে তা গুজব বলে খারিজ করে দেন। এ যেন অনন্ত কালের লুকোচুরি খেলা। ভালোবাসা দিবসে বলিউডের কয়েকজন আলোচিত তারকাদের প্রেম-ভালোবাসার কাহিনি নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
সালমান খান : বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান। বলিউডের বাতাসে কান পাতলে শোনা যায় সল্লুর সব প্রেম কাহিনি। প্রেম ও বিচ্ছেদের কারণে বহুবার মুখরোচক সব খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। তবে ‘বিগহার্ট লাভারবয়’ খ্যাত সালমানের আজ পর্যন্ত কোনো প্রেমই টেকেনি। সালমানের প্রেমের আকাশে ঠাই নেওয়া প্রথম তারকা অভিনেত্রী সংগীতা বিজলানি। ১৯৮০ সালে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জেতা বিজলানি নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বলিউডে পা রাখেন। একই জগতের বাসিন্দা হিসেবে সখ্য গড়ে ওঠে সালমান ও সংগীতার ভেতর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেকেনি সালমান-সংগীতার এই প্রেম। সংগীতার পর সালমানের জীবনে শুরু হয় নতুন প্রেমের অধ্যায়। সেবার তার হৃদয়ে রাণী হয়ে ধরা দেন সোমি আলি। সোমির সঙ্গে সালমানের প্রেম অনেক দিন টিকলেও, স্থায়ী হয়নি। খবর রটেছিল, সালমানের মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান আর বাজে আচরণ সহ্য করতে না পেরেই তাকে ছেড়ে যেতে বাধ্য হন সোমি।
সালমানের জীবনের তৃতীয় প্রেমিকা হিসেবে আসেন সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ব্লক বাস্টার’ হিট সিনেমা ‘হাম দিল দে চুকে সোনম’-এ একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন সালমান-ঐশ্বরিয়া। কিন্তু সালমানের জীবনের এই প্রেমও টেকেনি। যথারীতি এই ভাঙনের জন্য দায়ী করা হয় সালমানের বাজে আচরণকে।
ঐশ্বরিয়ার পর সালমানের জীবনে আসেন আরেক বলিউডের অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। ২০০৫ সালে ভাই সোহেল খানের প্রযোজনায় ব্যবসাসফল সিনেমা ‘ম্যায় নে পেয়ার কিউ কিয়া’-তে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেন ক্যাটরিনা। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয়। তবে একটা সময়ে গিয়ে ভেঙে যায় তাদের প্রেম। সর্বশেষ রোমানিয়ান মডেল ইউলিয়া ভান্তুরের সঙ্গে সালমানের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন : চোখ যেন তার কথা বলে। বলছি সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের কথা। ভুবনমোহিনী চোখের এই অভিনেত্রীর প্রেমিকের তালিকাটা নেহাত ছোট নয়। বলিউড পা রেখেই ঐশ্বরিয়া প্রেমে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে। ১৯৯৯ সালে সঞ্জয়লীলা বানসালির সিনেমা ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন সময়ে একে অন্যের প্রেমে পড়েন। তবে ফিল্মের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় তাদের প্রেমও। এরপর ‘কিউ হো গায়া না’ সিনেমার মাধ্যমে বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে অ্যাশের। তবে বিবেকের সঙ্গে অ্যাশের প্রেমের ইনিংস বেশি দীর্ঘ হয়নি। অল্প দিন যেতেই অ্যাশ সটকে পড়ে বিবেকের জীবন থেকে। বিবেকের সঙ্গে কেটে যাওয়ার কিছুদিন বাদেই অ্যাশের জীবনে এন্ট্রি নেন অভিষেক বচ্চন। ‘কুছ না কহো’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন অভিষেকের প্রেমে পড়েন অ্যাশ। কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম শেষে ২০০৭ সালে অভিষেকের গলাতেই মালা পরান নীলনয়না ঐশ্বরিয়া।
শহিদ কাপুর : বলিউডের চকোলেট বয় হিসেবে পরিচিত শহিদ কাপুর। কারিনা কাপুরের সঙ্গে তার প্রেমের কাহিনিটি এখনো বলিউডের আলোচনার খোরাক জোগায়। ‘মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে’ সিনেমাতে কাজ করতে গিয়ে একজন আরেকজনের প্রেমে পড়ে যান। তবে বেশি দূর গড়াতে পারেনি দুই তারকার প্রেমের সম্পর্ক। ‘ফিদা’ সিনেমায় কাজ করতে করতে কারিনা দুর্বল হয়ে পড়েন সিনেমার আরেক নায়ক ফারদিনের ওপর। এই ব্যাপারটি সহ্য করতে পারেননি শহিদ। তার কিছুদিন পড়েই ভেঙে যায় শহিদ-কারিনার সম্পর্ক। এরপর শহিদ কাপুরের সঙ্গে সোনাক্ষী সিনহা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও বিদ্যা বালানকে জড়িয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা মুখোরোচক গল্প ছড়িয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া : শুধু অভিনেত্রী হিসেবেই না, প্রিয়াঙ্কার খ্যাতি জুটেছে গায়িকা হিসেবেও। মডেল হিসেবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করা এ অভিনেত্রীর প্রেমের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। এক যুগের বলিউড ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ নায়কের সঙ্গে জড়িয়েছে তার নাম। তার প্রেমিকের তালিকায় আছেন শাহরুখের মতো নামজাদা তারকা। বলিউডে প্রিয়াঙ্কার প্রেমের ইনিংস শুরু হয় আরেক তারকা অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে দিয়ে। ‘আন্দাজ’, ‘মুঝসে শাদি করোগি’, ‘এতরাজ’ এবং ‘ওয়াক্ত’ সিনেমাগুলো দেখে তাদের মধ্যকার গভীর সম্পর্ক টের পেয়ে যান বলিউড সংশ্লিষ্ট সবাই। জানাজানি হওয়ার পর খড়গ হস্তে এগিয়ে আসে অক্ষয় কুমারের স্ত্রী টুইঙ্